গণতন্ত্রের নামে কোন অপশক্তি দেশের বিদ্যমান শান্তি নষ্ট করার অপচেষ্টা করলে জনগণকে সাথে নিয়ে তা প্রতিহত করা হবে। হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ।
রোববার (৪ অক্টোবর) সকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি আয়োজিত করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি মাঠে থাকুক তা আমরাও চাই, গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনই জনগণ চায়। কিন্তু আন্দোলনের নামে কোন ধরনের সন্ত্রাস সৃষ্টি, জনভোগান্তি এবং জানমালের ক্ষতি সরকার মেনে নিবে না।
আসন্ন উপনির্বাচনে ভরাডুবির আশংকায় তারা এখন থেকেই বিএনপি তাদের নেতাকর্মীদের উপর মামলা- হামলার কল্পিত অভিযোগের ভাঙা রেকর্ড বাজানো এখনো অব্যাহত রেখেছে ।
ভোটারদের আস্থা অর্জনে তাদের কোন পুঁজি নেই তাই বিএনপি মিথ্যাচারের ভেলায় চড়ে উত্তাল সাগর পাড়ি দেওয়ার অপচেষ্টা করছে, তিনি বলেন, প্রার্থীরা নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে চাইলেও বিএনপির হাইকমান্ডের অপরাজনৈতিক কৌশলের কারণে প্রার্থীরা ভোটের নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় একান্ত অনিচ্ছায়। নির্বাচন করা বিএনপির আসল লক্ষ্য নয়,তাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা।
এ সময় কাদের বলেন, অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকার স্বোচ্চার, অনিয়ম উদঘাটন করে সরকার স্বপ্রণোদিত হয়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে, কারো চাপে পড়ে নয়।তিনি বলেন, যাদের হাত দিয়ে এ দেশে দুর্নীতি বটবৃক্ষে রুপ নিয়েছিলো তারা দুর্নীতির আন্দোলন করবে- এ কথা শুনলে জনগণের হাসি পায়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন ও কমিটি গঠনের সময় এলে বিএনপি নেতারা বাণিজ্য করছে বলে তাদের কর্মীদের প্রকাশ্যে অভিযোগ আছে তাই তারা নাকি অনিয়ম দূর করার আন্দোলন করবে? জনগণ তা বিশ্বাস করে না।
যে সকল কমিটি জমা পড়েছে সে সকল কমিটি যাচাই বাছাই করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী বিতর্কিত ও অনুপ্রবেশকারীদের বাদ দিয়ে কমিটি করতে হবে।
তিনি বলেন, দুর্যোগ দুর্বিপাকে একমাত্র আওয়ামী লীগই জনগণের পাশে থাকে। একদিকে করোনা মহামারি আর অপরদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সফলতার সাথে দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল।
সরকার প্রমাণ করেছে দুর্যোগ প্রতিরোধ করা না গেলেও শেখ হাসিনার দূরদর্শী পদক্ষেপের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হ্রাস করা যেতে পারে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রোকেয়া সুলতানা এবং উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।
দ্য মেইল বিডি/খবর সব সময়