লিবিয়া উপকূলে অভিবাসন প্রত্যাশীদের একটি নৌকা ডুবে ১৬ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার পর জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বাংলাদেশিসহ ২২ জনকে। আর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তিনজনের।
যে তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তাঁদের দুইজন সিরিয়া এবং একজন ঘানার নাগরিক।
কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল-জাজিরায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়ারা বাংলাদেশ, মিশর, ইথিওপিয়া, সিরিয়াসহ সাতটি দেশের নাগরিক। তাদেরকে লিবিয়ার একটি ক্যাম্পে সাময়িকভাবে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
আইওএম-এর মুখপাত্র সাফা মেহলি বলেন, উদ্ধার হওয়া লোকজনকে জিটেন বন্দি শিবিরে পাঠানো হয়েছে। লিবিয়ার উপকূলরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। উদ্ধারকর্মীরা ওই এলাকায় তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।
এ নিয়ে এক মাসে দু’বার শরণার্থী বহনকারী নৌকা ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটল। এর আগে আইওএম এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত ১৫ সেপ্টেম্বর লিবিয়া উপকূলে একটি নৌকাডুবে যাওয়ার ঘটনায় ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বিভিন্ন দেশ থেকে শরণার্থীরা উন্নত জীবনের আশায় ইউরোপে পাড়ি দিচ্ছে। আর ইউরোপে পাড়ি দিতে লিবিয়া উপকূলই যেন শরণার্থীদের কাছে প্রধান গন্তব্যে পরিণত হয়েছে।
আইওএম-এর হিসাব অনুযায়ী, লিবিয়ায় বর্তমানে ৬ লাখ ৩৬ হাজারের বেশি শরণার্থী ও অভিবাসী রয়েছে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছাতে গিয়ে ৬২০-এর বেশি শরণার্থী প্রাণ হারিয়েছে।
২০১৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এই বিপজ্জনক পথ পাড়ি দিতে গিয়ে কমপক্ষে ২০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মেহলি আল জাজিরাকে বলেন, এতো মানুষের মৃত্যুর ঘটনা কেমন যেন স্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে যা সত্যিই খুব ভয়ানক। এসব মৃত্যুকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না এবং কোনো ধরনের পদক্ষেপও নেওয়া হচ্ছে না।