করোনাভাইরাস মহামারির বিস্তার বৈশ্বিক উন্নয়নকে দুই দশকের বেশি পেছনে ঠেলে দিয়েছে। বিল গেটস ও মেলিন্ডা গেটসের যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত দাতব্য সংস্থা ‘বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন’র এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরটি নিদারুণ কষ্টের মধ্য দিয়ে পার করতে হচ্ছে। করোনা মহামারির ফলে বৈশ্বিক উন্নয়ন পিছিয়ে গেছে। বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ চরম দারিদ্র্যসীমার মধ্যে ঢুকে পড়েছে। বিভিন্ন রোগ ও বৈষম্যে ভুগছে বহু পরিবার। অপুষ্টি বৃদ্ধি পেয়েছে। খুব কম শিশু টিকা পেয়েছে। ২০১৫ সালে জাতিসংঘ নির্ধারিত এক ডজনের বেশি স্বাস্থ্য সম্পর্কিত লক্ষ্য ধীর গতিতে চলছে। তবে এর গবেষণা কাজ এগিয়ে চলছে।
বিশ্বের অন্যতম ধনী বিল গেটস বলেন, আশা করছি, ২০২১ সালের শুরুতেই কার্যকর ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। করোনার ভ্যাকসিন বের হলেই গরিব দেশগুলো যাতে সহজে পেতে পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
বিল গেটস আরও বলেন, করোনাভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য যুক্তরাষ্ট্র অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে নিজেদের প্রতি বেশি মনোনিবেশ করেছে। অথচ মহামারির এ সময়ে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দেশ হিসেবে দক্ষতা ও উদারতা উভয় ক্ষেত্রেই তাদের কি আগের ভূমিকায় ফিরে আসা উচিত নয়? নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিল গেটস এ কথা বলেন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর থেকেই বিল গেটস টিকা উদ্ভাবনের জন্য মোটা অঙ্কের অর্থ অনুদান দিয়েছেন। গরিব দেশগুলো যাতে কম খরচে টিকা পেতে পারে, সে জন্য নানা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। সংবাদসূত্র : বিবিসি, রয়টার্স