বৃহস্পতিবার, মে ২, ২০২৪

পেঁয়াজ রপ্তানি আনুষ্ঠানিকভাবেই বন্ধ ঘোষণা করেছে ভারত

যা যা মিস করেছেন

পেঁয়াজ রপ্তানি আনুষ্ঠানিকভাবেই বন্ধ ঘোষণা করেছে ভারত। আজ সোমবার দিনভর দেশের তিনটি প্রধান স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আসেনি। এরপর রাতে ভারত সরকারের রপ্তানি বন্ধের নির্দেশনা দেশটির আমদানিকারকদের হাতে আসে।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের এই নির্দেশনা দেয়। এতে বলা হয়েছে, অনতিবিলম্বে এই নির্দেশ কার্যকর হবে।
ভারত থেকে মূলত সাতক্ষীরার ভোমরা, দিনাজপুরের হিলি ও যশোরের বেনাপোল দিয়ে বেশি পেঁয়াজ আমদানি হয়। আজ বিকেলে বেনাপোল কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার কল্যাণ মিত্র চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, সকালে এক ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল। তারপর আর আসেনি।

হিলি স্থলবন্দরের কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার সাইদুল আলম আজ বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রোববার পর্যন্ত ভারত থেকে ১২৯টি পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। যা পরিমাণে প্রায় ৮০০ টন। সোমবার সারা দিন পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। তিনি বলেন, দুপুরের পরে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা (ভারতীয় কর্তৃপক্ষ) তাদের সংকটের কথা জানিয়েছেন। তারা নিজ দেশেও (ভারত) পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির কথা বলছেন।

বাংলাদেশে যতটুকু পেঁয়াজ আমদানি হয়, তার সিংহভাগ আসে ভারত থেকে। ভারতে দুই সপ্তাহ আগে দাম বাড়তে থাকে। সঙ্গে বাংলাদেশেও পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়।
ঢাকার বাজারে এখন প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ জাত ও আকারভেদে ৬০ থেকে ৭০ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক মাস আগেও দেশি পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৩০-৩৫ টাকার মধ্যে ছিল। দেশে গত বছর নভেম্বরে পেঁয়াজের কেজিপ্রতি দাম ৩০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। মূল্যবৃদ্ধির শুরুটা হয়েছিল ভারত থেকে সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায়। ভারত নিজেদের বাজার সামাল দিতে গত বছর ১৩ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানিতে ন্যূনতম মূল্য টনপ্রতি ৮৫০ ডলার বেঁধে দেয়। ৩০ সেপ্টেম্বর রপ্তানিই নিষিদ্ধ করে দেয় দেশটি। এরপর দেশের বাজারে পেঁয়াজের দামে তিন শ টাকা পর্যন্ত ওঠে। তখন আকাশ পথেও পেঁয়াজ আমদানি করা হয়।

ভারত গত মার্চ মাসে পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়।
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) সদস্য আবু রায়হান আলবেরুনী প্রথম আলোকে বলেন, দেশে সামাজিক অনুষ্ঠানাদি বন্ধ থাকায় এখন পেঁয়াজের চাহিদা কম। দেশে যা মজুত আছে, তা দিয়ে ভালোভাবেই চলবে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে।
প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহায়তা করেছেন মনিরুল ইসলাম, যশোর, রাজিউল ইসলাম, দিনাজপুর ও কল্যাণ ব্যানার্জি, সাতক্ষীরা।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security