নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩ জনে দাঁড়িয়েছে। চিকিৎসাধীন বাকি মুসল্লিদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
গতকাল শনিবার দিবাগত রাতেই মারা গেছেন চারজন। তারা হলেন, আবদুল মালেক (৬২), মিজান হোসেন নিজাম (৪০), নাদিম (৪৫) ও শামীম (৪৫)।
এ দুর্ঘটনায় হতাহতরা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হাসপাতালটির আবাসিক সার্জন ডা. পার্থ শংকর পাল হতাহতের এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
নিহতদের মধ্যে জোবায়ের (১৮) ও সাব্বির (২১) দুইভাই। তাদের বাসা নারায়ণগঞ্জের তল্লায়। মসজিদের ইমাম সোবহানও মারা গেছেন। তার বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগরের পুটিয়াজুড়ি গ্রামে। তার ছেলে আব্দুল মালেকও শনিবার রাতে মারা গেছেন। এছাড়া মুয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে মারা যায় ছেলে জুনায়েদও (১৬)। দুদিন আগে গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার লাঙ্গলকোট থেকে বাবার কাছে এসেছিল সে।
নিহত অন্যান্যরা হলেন- মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার হাটবুকদিয়া গ্রামের কুদ্দুস ব্যাপারী (৭২), চাঁদপুর সদর উপজেলার করিম মিজির ছেলে মোস্তফা কামাল (৩৪), ফতুল্লার জুলহাস ফরাজির শিশু সন্তান জুয়েল (০৭), পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার আব্দুল খালেক হাওলাদারের ছেলে গার্মেন্টসকর্মী মো. রাশেদ (৩০), তল্লা এলাকার হুমায়ুন কবির (৭২), পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার কাউখালি গ্রামের মো. বেলায়েতের ছেলে জামাল আবেদিন (৪০), গার্মেন্টসকর্মী ইব্রাহিম বিশ্বাস (৪৩), নারায়ণগঞ্জ নিউ খানপুর ব্যাংক কলোনির কলেজছাত্র মো. রিফাত (১৮), চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার শেখদী গ্রামের মৃত মহসিনের ছেলে মাইনুউদ্দিন (১২), ফতুল্লার আনোয়ার হোসেনের ছেলে জয়নাল (৩৮), লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার তালুক পলাশী গ্রামের গার্মেন্টসকর্মী নয়ন (২৭), ফতুল্লার আব্দুল খালেকের ছেলে বাহার উদ্দিন (৫৫), তল্লার কাঞ্চন হাওলাদার (৫০) এবং জুলহাস।
এদিকে, শনিবার বিকেল ৩টা থেকে এ ঘটনায় নিহত ১৬ জনের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক ও জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. জাহেদ পারভেজ চৌধুরী উপস্থিত থেকে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেন।