ফতুল্লার পাগলায় ভুল চিকিৎসায় আয়েশা আক্তার আলফি (১৪) নামক ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। মৃত স্কুলছাত্রী পাগলা নয়ামটি এলাকার শাহাদাত হোসেনের ভাড়াটিয়া মিজানুর রহমানের কন্যা।
মৃত স্কুল ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা জানান, গত (১৯ শে আগষ্ট) বুধবার আয়েশা আক্তার আলফি(১৪) নিজ বাড়ির ছাদে সমবয়সীদের সাথে খেলার সময় হঠাৎ পা পিছলে পড়ে যায়। যার ফলে ব্যাথা অনুভব করলে স্থানীয় পাগলাবাজার কামালপুরে অবস্থিত গ্রীন ডেলটা ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। ক্লিনিক কতৃপক্ষ তাদেরকে জানায়, পায়ের হাড় ভেঙে গেছে, অপারেশন করাতে হবে। আলফির অভিভাবক এখানে অপারেশন করাতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে। কিন্তু ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ আশস্ত করে এ ধরনের অপারেশন তারা করতে পারবে। ততক্ষণ পর্যন্ত আলফি স্বাভাবিক ছিলো। পরবর্তীতে অপারেশনের জন্য তাকে অজ্ঞান করতে ইনজেকশন দেওয়া হয়। কার্যকারিতা না পাওয়ায় দ্বিতীয় বারের মতো আবারো ইনজেকশন পুশ করা হলে ওভার ডোজের কারনে একপর্যায়ে কোমায় চলে যায় আলভী। মূহুর্তের মধ্যেই আলভীর প্ররো শরীর নিস্তেজ হয়ে যায়। অবস্থা বেগতিক দেখে গ্রীন ডেলটা কর্তৃপক্ষ জানায়, আলফির আই.সি.ইউ সাপোর্ট লাগবে। যা তাদের এখানে নেই। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তারা তাদের অন্য শাখা ধোলাইপাড় ডেলটা হাসপাতাল যাত্রাবাড়ী শাখায় নিয়ে যায় এবং দীর্ঘ ৩ দিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করার পর আজ রবিবার সকাল সাতটায় মারা যায়।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে আলফির বড় ভাই হাসিবুল হাসান শান্ত(২২) জানান, সকাল সাতটার দিকে তিনি আইসিইউ রুমে প্রবেশ করে দেখতে পান যে ইতিমধ্যে আলফির সমস্ত শরীর ঠান্ডা হয়ে গেছে এবং পালস বন্ধ হয়ে যাওয়াতে নিশ্চিত হন তার বোন মারা গেছে। পরবর্তীতে ডাক্তারদের পক্ষ থেকেও মৃত্যুর সংবাদটি আলফির পরিবারের সদস্যদের জানানো হয়।
আলফির ভাই শান্ত আরো জানান, অজ্ঞান করার ইনজেকশন দেয়ার পূর্বেও আমার বোন স্বাভাবিক ছিলো, কথা বলছিলো। চোখের সামনে এভাবে বোনকে হারিয়ে ফেললাম। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, তিনি ঘটনাটি শুনে পুলিশ পাঠানোর পর নিজেও ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছেন। তবে লিখিত কোন অভিযোগ পাননি। পেলে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন।