বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪

তারেককে দেশে ফেরানো জরুরি মনে করছেন ফখরুল

যা যা মিস করেছেন

দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা জরুরি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, দেশে লাখো মানুষ যারা মামলা-মোকদ্দমায় জড়িত হয়ে পড়ে আছে, যারা কারাগারে রয়েছে, তাদের মুক্ত করা-এটা এখন জরুরি একটা বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সংকট শুধু বিএনপির নয়, এটা সমগ্র দেশের, সমগ্র মানুষের।

বুধবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই ভার্চুয়াল আলোচনা সভা হয়। সাড়ে চার ঘণ্টার এই ভার্চুয়াল আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকারকে যদি সরানো না যায় এবং এখানে জনগণের সরকার যদি প্রতিষ্ঠা না করা যায়… সত্যিকার অর্থে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেই লক্ষ্যে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, আমি মনে করি, বিএনপি তার ভূমিকা ইতোমধ্যে পালন করেছে এবং স্বেচ্ছাসেবক দল এই ভূমিকা অতীতে পালন করেছে এবং এখনো করছে। আমাদের এখন সময়ে এসেছে আমাদের মধ্যে ঐক্য সৃষ্টি করা।

ফখরুলের ভাষ্য, ‘বাংলাদেশে এখন দুইটা দুর্যোগ চলছে। একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ, স্বাস্থ্যখাতের দুর্যোগ, কোভিড-১৯-এর দুর্যোগ। অন্যটি হচ্ছে রাজনৈতিক দুর্যোগ। কোভিডে মানুষের জীবন-জীবিকা বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। আর রাজনৈতিক দুর্যোগের মধ্য দিয়ে এদেশে মানুষের যে মালিকানা ছিল, সেই মালিকানা বিলীন করে দেয়া হয়েছে। তারা (সরকার) দেশে লুটেরা অর্থনীতি, একটা লুটেরা সমাজ তৈরি করেছে।’

‘কোন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সাহেবকে জনগণ সামনে নিয়ে এসেছিলেন। সেই অবস্থাটা হচ্ছে ১৯৭২-৭৫ সাল। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের যে চেতনা ছিল, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণার মধ্য দিয়ে যারা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, তাদের লক্ষ্য ছিল একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা, একটা গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা হবে এবং জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি আসবে। কিন্তু জনগণ দেখেছে, ১৯৭২ সাল থেকে মানুষ মুক্তির বদলে আরও আবদ্ধ হয়েছে, ক্রীতদাস হয়েছে’, বলেন বিএনপি মহাসচিব।

বক্তারা সদ্যপ্রয়াত স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েলের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমেদ, জমির উদ্দিন সরকার, রফিকুল ইসলাম মিয়া, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু প্রমুখ অংশ নেন।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security