করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকটা এলাকা ও ভবন লকডাউন থাকায় অনেকে আটকা পড়েছেন। বাজার করার মতো পরিস্থিতিও নেই অনেকের। এ রকম যারা আছেন তারা তেজগাঁও বিভাগের নিকটস্থ থানায় সহায়তা চাইলেই তার ঠিকানায় পৌঁছে যাচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি।
এই উদ্যোগকে আরও বেগবান করার উদ্যোগ নিয়েছে তেজগাঁও বিভাগ পুলিশ। এবার অ্যাপের মাধ্যমে জানানো যাবে। পুলিশ নিকটস্থ বাজার থেকে অর্ডার করা পণ্য পৌঁছে দেবে বাসায়।
তেজগাঁও বিভাগ পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তেজগাঁও বিভাগের অধীন তেজগাঁও, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, মোহাম্মদপুর, আদাবর, শেরেবাংলা নগর ও হাতিরঝিল থানাধীন বিভিন্ন এলাকা লকডাউন ঘোষণার পর থেকে অফিসিয়াল মোবাইল নম্বরগুলোতে ফোনের পর ফোন আসে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি (চাল, ডাল, চিনি, তেল, মসলা ইত্যাদি), বেবি ফুড এবং ঔষুধ কিনতে তারা পুলিশের সহযোগিতা চান।
যারা ফোন করেছেন, তাদের অনেকেই বয়স্ক। বয়সের ভারে তাদের চলাচলে অসুবিধা হয়। ছেলেমেয়েরা পেশাগত কারণে অন্য কোথাও থাকেন। করোনার কারণে কেয়ারটেকার বা কাজের লোককে ছুটি দিয়েছেন। বাসায় বাজারে যাওয়ার মতো পুরুষ লোক নেই বাসায়। লকডাউনে অন্য কোথাও আটকা পড়েছেন, বয়সে ছোট কিংবা বাসার কর্তা মারা গেছেন। অথবা যারা সরকারি সিদ্ধান্ত ‘স্টে হোম’কে স্বাগত জানিয়ে এবং নিজেদের ঝুঁকিমুক্ত রাখতে বাইরের সংস্পর্শ এড়িয়ে বাসাতেই থাকতে চান।
কিংবা লকডাউন করা ভবন, বাসা বা পার্শ্ববর্তী ভবন, বাসার অধিবাসী। কোনো অবস্থাতেই তারা বাইরে বের না হতে পারেন সেজন্য পাড়া বা মহল্লার অন্যান্য অধিবাসীরা পাহারা বসিয়েছে। এমন যারাই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কিনতে সহায়তা চেয়ে পুলিশকে ফোন করেছেন, সবাইকেই সহায়তা করা হয়েছে।
এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে তেজগাঁও বিভাগের ছয়টি থানায় নির্বাচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে কাজ করছেন উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) বিপ্লব বিজয় তালুকদার। দ্রুততার সাথে নিখুঁতভাবে সর্বসাধারণের প্রয়োজনে পাশে থাকতে একটি অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে।