প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র কমিউনিটি ক্লিনিক। জনগণের কাছে পুষ্টি শিক্ষা ও সেবা পৌঁছে দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন ১৪ হাজার কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি)।
কমিউনিটি ক্লিনিকে সরকারি ছুটির দিন ছাড়া সপ্তাহের সব কর্মদিবসে একজন প্রোভাইডার মাতৃস্বাস্থ্য, শিশুস্বাস্থ্য, পুষ্টিসেবা, পরিবার পরিকল্পনা সেবা দেন। সারা দেশে প্রতিটা ক্লিনিকে গড়ে প্রতিদিন ৩৫-৪০ জন মানুষ সেবা নেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার পর থেকে উপজেলা ও জেলা সদর হাসপাতালে সেবাগ্রহীতাদের উপস্থিতি অনেকাংশে কম। গ্রামের মানুষের ভিড় এখন কমিউনিটি ক্লিনিকে। আগের চেয়ে দ্বিগুণ রোগী আসে এখন। যার মধ্যে সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্টজনিত রোগ বেশি।
বাংলাদেশ সিএইচসিপি অ্যাসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় এডহক কমিটির আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রোভাইডাররা এই ক্রান্তিলগ্নে সেবা দিতে চাই। বর্তমান পরিস্থিতিতে অধিদপ্তরের আদেশ অনুযায়ী দেশের সব কমিউনিটি ক্লিনিকে সকাল ৮-১২টা পর্যন্ত সেবাদান অব্যাহত আছে। কিন্তু আমরা মারাত্মক ঝুঁকিতে আছি, সারা দেশের সকল কমিউনিটি ক্লিনিকে বিএমআরসি ভবন থেকে কোনো প্রকার গ্লাভস, মাস্ক, স্যানিটাইজার বা পিপিই প্রেরণ করা হয়নি। তাই এ সময়ে প্রোভাইডারদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য বিমাসহ সরকারের দেওয়া সব ধরনের প্রণোদনা অবশ্যই আমাদের প্রাপ্য এবং তা দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।
কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আকরামুল হক চৌধুরী বলেন, ‘প্রান্তীক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ সেবকদের বিগত ৯ বছরে একই বেতনে চাকুরি করতে হচ্ছে, এমনকি এ পর্যন্ত কোনো ইনক্রিমেন্ট যোগ হয়নি, নেই কোনো সরকারি সুযোগ-সুবিধা। তাই কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রভাইডারদের (সিএইচসিপি) এখনই ঝুঁকি ভাতা ঘোষণা করা প্রয়োজন।’
সংগঠনের রামু উপজেলার সভাপতি রেজাউল করিম রাজু ও হবিগঞ্জ জেলার সভাপতি মো. আব্দুর রশিদ বলেন, ‘দেশের ক্রান্তিলগ্নে সিএইচসিপিরা জীবনবাজি রেখে দেশ ও দশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। ইতিমধ্যে দেশের প্রান্তীক পর্যায়ে করোনা নমুনা সংগ্রহের জন্য প্রোভাইডারদের একদিনের ট্রেনিং শুরু হয়েছে। প্রতিটি প্রোভাইডার দেশের স্বার্থে সেবা দিচ্ছে। ১৪ হাজার প্রোভাইডারদের মধ্যে লৌহজং উপজেলার একজন, পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার এক সিএইচসিপিসহ অনেকেই হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। সেজন্য নিরাপত্তা বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।’
প্রান্তিক জনগোষ্ঠির স্বাস্থ্য সেবা নির্বিঘ্নে চালানোর জন্য প্রোভাইডারদের চাকরি রাজস্ব করণের দাবি জানান তারা।