দেশের দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহাম্মেদ খান। তিনি বলেছেন, ‘কোথাও অাগুন লাগলে অথবা যেকোনো দুর্যোগ মুহূর্তে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ড্রোন ব্যবহার করা হবে। এজন্য শিগগিরই ফায়ার সার্ভিসে ড্রোন সংযোজন করা হবে।’
শনিবার নগরীর বঙ্গবন্ধু অান্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিঅাইসিসি) ‘অান্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০১৮’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের বক্তব্যে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহাম্মেদ খান এসব কথা বলেন।
ফায়ার ডিজি বলেন, ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অাধুনিক করতেই কিছু ড্রোন ব্যবহার করা হবে। ড্রোনের মাধ্যমে কোথায় কী পরিমাণে ব্যবস্থা নিতে হবে তা জানতে পারব। এর ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে। ঝুঁকির মাত্রাও সঠিকভাবে জানা যাবে ড্রোনের মাধ্যমে।’
ফায়ার সার্ভিসের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে সারা দেশে ৩৪৮টি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অাছে। অাগামী দুই বছরে অারও ৫৪০টি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণ করা হবে। সকল উপজেলাসহ প্রয়োজনীয় স্থানে স্টেশন থাকবে।’
‘অাগে অামরা ৯ তলার বেশি উঁচু ভবনে অাগুন নেভাতে পারতাম না। এখন ২০ থেকে ২২ তলা ভবনের অাগুন নেভাতে স্বক্ষম’-যোগ করেন ডিজি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। এ সময় অন্যদের মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।