ওবায়দুল কাদের বলেন, বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা যানবাহন থামিয়ে যেভাবে লাইসেন্স দেখতে চাইছে বা সড়কে বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে কাজ করছে; এটা দেখিয়েছি বাংলাদেশে আমি।
তিনি বলেন, আমি তো অলওয়েজ রাস্তায় ছিলাম। আমি অলওয়েজ একাজ গুলো করেছি। এটা তো নতুন তারা দেখাচ্ছে এমন তো না। আমি রাস্তায় গিয়ে এসব চেকিং গুলো শুরু করেছি।
গত রোববার সড়কে দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর রাস্তায় বিক্ষোভে নামে শিক্ষার্থীরা; যা এখনও চলছে। বিক্ষোভ আর অবরোধের মধ্যেই রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে গাড়ি থামিয়ে চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ির লাইসেন্স চেক করা ও উল্টো পথে গাড়ি না চালাতে উৎসাহিত করছে শিক্ষার্থীরা। মন্ত্রী, পুলিশ ও সাংবাদিকদের গাড়িও বাদ যায়নি।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ওবায়দুল কাদের জানান, নতুন সড়ক পরিবহন আইন পাস হলে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো সহজ হবে।
তিনি বলেন, আইন হলে ইমপ্লিন্টেশন করার লিগ্যাল বাইন্ডিং তো থাকে। যারা আইন মানতে চায় না তাদের মানতেই হবে। আইনটা দরকার, আইনটা হলে আমি বা যেই মন্ত্রী থাকুক ইমপ্লিন্টেশন করার শক্তি পাবে।
গত ২৯ জুলাই রোববার রাজধানীর কুর্মিটোলায় বিমানবন্দর সড়কে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের ওপর উঠে পড়ে জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস।
এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় শহীদ রমিজউদ্দীন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম ওরফে রাজীব (১৭) এবং একই কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম (১৬)।
বুধবার গ্রেফতার করা হয়েছে জাবালে নূর পরিবহনের দুর্ঘটনা ঘটানো বাসের মালিক শাহাদৎ হোসেন ও চালক মাসুম বিল্লাহ। বাতিল করা হয়েছে জাবালে নূর পরিবহনের রুট পারমিট ও নিবন্ধন।
রাস্তায় বাসচাপায় শিক্ষার্থী হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রোববার থেকেই রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করছে। বৃহস্পতিবারও এ আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে।