সিলেটে যে বোমা বিস্ফোরণে পুলিশের দুজন কর্মকর্তাসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন, সেটি আগে থেকে পেতে রাখা ছিল বলে বিবিসিকে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ‘সেটি কোনো হামলা ছিল না’। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে যখন শিববাড়ির ওই সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানাটি নিরাপত্তা বাহিনী ঘেরাও করে ফেলে, তখনই বোধহয় কোনো একসময় এখানে আশেপাশে তারা বোমাটি রেখে গিয়েছিল বা আগেই রেখে গিয়েছিল।
‘পুলিশরা যখন দেখেছে, তখনই এটা বিস্ফোরিত হয়েছে, ধাক্কা-ধোক্কা খেয়ে’, বলেন আসাদুজ্জামান খান। আজ রোববার সন্ধ্যায় আলোচিত ‘আতিয়া মহল’ নামের ভবনটিতে চলমান কমান্ডো অভিযান সম্পর্কে সেনাবাহিনীর তরফ থেকে সাংবাদিকদের ব্রিফ দেয়ার কিছু পরেই সেখান থেকে কাছেই একটি জায়গায় বিস্ফোরণটি হয়।
এ বিস্ফোরণে বহু মানুষ আহত হয়। নিহত হর দুজন পুলিশ কর্মকর্তা এবং চারজন ‘উৎসুক’ জনতা। এ ঘটনায় র্যাবের গোয়েন্দা প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুল কালাম আজাদ গুরুতর আহত হন। তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্য দেবার আগ পর্যন্ত একটি ধারণা ছিল, একদল হামলাকারী অতর্কিতে এসে বোমা হামলাটি চালায়। আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠী তথাকথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএস এরই মধ্যে এই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে।
ঘটনাস্থল থেকে প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় বিস্ফোরণের সময় একজন মোটরসাইকেল আরোহীর আগমণের বিবরণও পাওয়া যায়।
কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের বর্ণনায়, ‘এটি লক্ষ্য করে কোনো হামলা নয়’।
তবে বিস্ফোরণটি ঘটবার কারণ সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কিভাবে হয়েছে এটা আমরা এখনো ঠিক জানি না। তদন্ত শেষে বলতে পারবো বিস্ফোরণ কিভাবে হয়েছে এবং বোমাটা কিভাবে এলো।’
সূত্র: বিবিসি