মুক্তিযোদ্ধাদের ভিভিআইপি মর্যাদা দেওয়া উচিত বলে মনে করেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।
তিনি বলেন- “কমলগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন তার জীবনের অর্জিত সেরা সম্মান। স্বাধীনতাযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারা অংশগ্রহণ করেছেন বলেই দেশ স্বাধীন হয়েছে। যে কারণে তিনি বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হতে পেরেছেন। যে ছেলের জন্ম যুদ্ধের সময় হয়নি সে ছেলেই মুজিবনগর সরকারের কর্মচারী হিসেবে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সুযোগসুবিধা নিয়েছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জার বিষয়। কোন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা যেন জাতির শ্রেষ্ঠ সূর্য সন্তানদের পাশে নাম লিখাতে না-পারে সেজন্য সকল মুক্তিযোদ্ধাকে সজাগ থাকতে হবে।”
তিনি শুক্রবার (১০ মার্চ) সন্ধ্যায় কমলগঞ্জ উপজেলার ভানুগাছ বাজারের ১০নং চত্বরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত ২ কোটি ৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের আনুষ্ঠানিক ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হকের সভাপতিত্বে ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড কাউন্সিল কমলগঞ্জের সদস্য সচিব সঞ্জয় দেব সাফুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন- মৌলভীবাজার জেলা ও দায়রা জজ শফিকুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক তোফায়েল ইসলাম, বিজিবি সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আশরাফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজালাল, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট একিউএম নাসির উদ্দিন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ সদস্য কমলগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. জামাল উদ্দিন, মৌলভীবাজার জজকোর্টের পিপি অ্যাড. এএসএম আজাদুর রহমান, এলজিইডি মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডর আব্দুল মুনিম তরফদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আনন্দ মোহন সিন্হা প্রমুখ।
এর আগে প্রধান বিচারপতির সম্মানে সিলেট অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী ধামাইল নৃত্য ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গণসঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।অনুষ্ঠানে কমলগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষ থেকে প্রধান বিচারপতিকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।