বৃহস্পতিবার, মে ২, ২০২৪

নতুন সিইসি হলেন কে এম নুরুল হুদা

যা যা মিস করেছেন

সাবেক সচিব কে এম নুরুল হুদাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বাকি সদস্যরা হলেন, মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম ও শাহাদাত হোসেন চৌধুরী। সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় সচিবালয়ে ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম এই তথ্য জানান।

K M Nurul huda the mail bd
এর আগে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন জানান, সার্চ কমিটি দশ জনের নাম প্রস্তাব করেছে। তারা হলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে সাবেক সচিব, কে এম নুরুল হুদা, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার এবং সদস্য সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জারিনা রহমান খান, সাবেক সচিব মো. রফিকুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম কবিতা খানম, পরিকল্পনা কমিশনের সাবেক সদস্য মো. আবদুল মান্নান, ব্রি. জে (অব.) শাহাদৎ হোসেন চৌধুরী ও অধ্যাপক ড. নামজুল আহসান কলিমউল্লাহ।
এদিকে, সাড়ে ৬টায় বিচারপতি মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন সার্চ কমিটির সদস্যরা বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই নামের তালিকা হস্তান্তর করেন। এ সময় নিজেদের কাজের প্রক্রিয়া রাষ্ট্রপতির কাছে তুলে ধরেন সার্চ কমিটির সদস্যরা।
বঙ্গভবন সূত্র জানিয়েছে, সার্চ কমিটির পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতিকে জানানো হয়, বিশিষ্ট ব্যক্তিদের অভিমতের ভিত্তিতে এ তালিকা প্রকাশ করার ব্যাপারে তারাও গুরুত্বারোপ করছেন। এতে রাষ্ট্রপতিও সম্মতি জানালে নামের তালিকাটি প্রকাশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
প্রসঙ্গত, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে আলোচনার পর তাদের পরামর্শ অনুযায়ী সম্ভাব্য নির্বাচন কমিশনারদের নাম খুঁজতে গত ২৫ জানুয়ারি ৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি সার্চ কমিটি গঠন করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে প্রধান করে এই কমিটির সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক, মহাহিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মাসুদ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি শিরীণ আখতারকে। এ কমিটি প্রথম বৈঠকে বসে গত ২৮ জানুয়ারি। সরকারি প্রজ্ঞাপনে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে সম্ভাব্য যোগ্য ব্যক্তিদের নামের তালিকা করার জন্য তাদের সময় বেঁধে দেওয়া হয় ১০টি কার্যদিবস।
সার্চ কমিটি ২৮ জানুয়ারি প্রথম বৈঠকে বসে নিজেদের কর্মপরিকল্পনা ঠিক করে। এরপর দুই ধাপে ১৬ জন বিশিষ্ট নাগরিকের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের পরামর্শ শোনে। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে যোগ্য ব্যক্তিদের নাম আহ্ববান করে সার্চ কমিটি। দলগুলোও নাম প্রস্তাব করে। সেখান থেকে প্রথমে ২০ জনের ওপরে তা কমিয়ে ১০ জনের তালিকা করে সার্চ কমিটি। সোমবার সন্ধ্যায় এই তালিকা রাষ্ট্রপতির হাতে তুলে দিয়ে নিজেদের দায়িত্ব শেষ করেন সার্চ কমিটির সদস্যরা।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security