শিশুদের সুকোমল মনোবৃত্তির বিকাশে তাদের সঙ্গে প্রকৃতির সংযোগ স্থাপনে অভিভাবকদের উদ্যোগী হতে আহ্বান জানিয়ে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, এখন বাচ্চাদের ‘রোবোটিক কায়দায়’ প্রতিপালন করা হচ্ছে।
শনিবার রাজধানীতে শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও অভিভাবক সমাবেশে তিনি সিলেবাসভিত্তিক পড়াশোনার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমের উপরও জোর দেন।
সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, “শিশুদের আমরা তাদের মতো করে বড় হতে দিচ্ছি না। শিশুদের জীবনে এখন আকাশ, নদী, ফুল, পাখি কিছু নেই।সকালে স্কুলে যাবে, স্কুল থেকে এসে হোমওয়ার্ক করবে, তারপর একটু ডোরেমন কার্টুন দেখল, তারপর ঘুম।
“তাদের জীবনে যেন লেখাপড়া ছাড়া আর কিছু নেই!”
জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘শিশুদের স্বপ্নের পৃথিবী’ শীর্ষক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও অভিভাবক কাউন্সিলের আয়োজন করে ব্রাইটার টুমরো ফাউন্ডেশন।
প্রতিযোগিতায় শিশুদের আঁকা ছবিগুলো নিয়ে নূর বলেন, “এসব ছবি দেখলেই বোঝা যায়, বাবা মায়েরা তাদের শিখিয়ে দিয়েছে। ওদের মনের আকাশে যে কী ঘটছে, তা বোঝার উপায় নেই বড়দের।”
শিশুদের গ্রামে নিয়ে গিয়ে প্রকৃতি আর জীবজন্তুর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, “শিশুদের মধ্যে এক অন্যরকম শক্তি রয়েছে। সেই শক্তি আবিষ্কার করতে হবে আমাদের। মানুষের মতো করে দাঁড়ানোর শক্তিটি জাগিয়ে তুলতে হবে তাদের মধ্যে।”
ব্রাইটার টুমরো ফাউন্ডেশনের সভাপতি মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ফারজানা রাবিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চিকিৎসক ও চিত্রপরিচালক অরূপ রতন চৌধুরী, ভারত বিচিত্রার সম্পাদক নান্টু রায় ও পর্বতারোহী এম এ মুহিত বক্তব্য দেন।
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন আহমেদ পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে কিশোরদের আত্মহত্যার প্রবণতার চিত্র তুলে ধরেন।
জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে আত্মহত্যা প্রতিরোধে সচেতনতামূল কার্যক্রম পরিচালনা করছে ব্রাইটার টুমরো ফাউন্ডেশন। ২০১৫ সালের ২৮ মে আত্মপ্রকাশের পর হতাশাগ্রস্থ তরুণদের নিয়ে কাজ করছে এই ফাউন্ডেশন।