দেশে প্রথমবারের মত জেলা পরিষদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য রোববার তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন।
আইন অনুযায়ী, স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনের প্রথমবারের ভোটের তারিখ নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। ওই নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে ২৮ ডিসেম্বর।
এখন নির্বাচন কমিশন (ইসি) এ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ, মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ও প্রতীক বরাদ্দের দিন ঠিক করে পূর্ণাঙ্গ তফসিল আগামী রোববার ঘোষণা করবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘যেহেতু হাতে সময় কম তাই ২০ নভেম্বরের (রোববার) মধ্যে এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতেই হবে। তা না হলে কষ্টকর হয়ে যাবে। আইন মন্ত্রণালয় থেকে জেলা পরিষদ নির্বাচন ও আচরণ বিধিমালার ভেটিংও সম্পন্ন হয়ে নির্বাচন কমিশনে এসেছে। এখন আমরা বাকি কাজগুলো করছি।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইসির একটি সূত্র জানায়, সরকারঘোষিত তারিখ অনুযায়ী জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হবে ২৮ ডিসেম্বর। আর মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় নির্ধারণ করা হবে ৩০ নভেম্বর। যাচাই-বাছাই হবে ২ ও ৩ ডিসেম্বর। প্রত্যাহারের শেষ সময় হবে ৯ ডিসেম্বর এবং প্রতীক বরাদ্দ করা হবে ১০ ডিসেম্বর।
ভোটগ্রহণের জন্য প্রত্যেক জেলায় ১৫টি করে বুথ থাকবে। প্রত্যেক জেলার অন্তর্ভুক্ত সিটি করপোরেশনের (যদি থাকে) মেয়র ও কাউন্সিলর, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ও ভাইস চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর এবং ইউপির চেয়ারম্যান ও সদস্য জেলার পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটার হবেন। তাদের ভোটেই জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য নির্বাচিত হবেন।
এর মধ্যে সব চেয়ে বেশি ভোটার ইউনিয়ন পরিষদে। দেশে বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদের সংখ্যা সাড়ে চার ৪ হাজার। প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে গড়ে ১৩ জন করে প্রায় ৬০ হাজারের মত নির্বাচিত প্রতিনিধি রয়েছেন।
৪৮৮টি উপজেলা পরিষদে প্রায় দেড় হাজার; ৩২০টি পৌরসভায় সাড়ে ৫ হাজার এবং ১১টি সিটি করপোরেশনে প্রায় সাড়ে ৫০০ নির্বাচিত প্রতিনিধি রয়েছেন।