২০ তম কাউন্সিলে দলীয় নেতা নির্বাচনের লক্ষ্যে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে রুদ্ধদ্বার অধিবেশনে সমবেত হয়েছেন আওয়ামী লীগ কাউন্সিলররা।
দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে দ্বিতীয় দিনের এই অধিবেশনে ৬ হাজার ৫৭০ জন কাউন্সিলর এতে অংশ নিচ্ছেন।
রোববার সকাল সাড়ে নয়টার কিছুক্ষণ পরে এ রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এ অধিবেশন শুরু হয়। ভেতরে কাউন্সিলররা থাকলেও বাইরে ভিড় করেছেন উৎসুক নেতা-কর্মীরা। অধিবেশন পরিচালনা করছেন দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
নিরাপত্তার জন্য শনিবারের মতো আজও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমোদিত ব্যক্তি ছাড়া সর্বসাধারণের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
কাউন্সিল অধিবেশনে কয়েকজন কাউন্সিলরকে তিন মিনিট করে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। প্রতিটি জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তাঁদের সাংগঠনিক প্রতিবেদন পেশ করবেন। এরপর দলের সংশোধিত ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্র অনুমোদন করা হবে। এসব সাংগঠনিক কার্যক্রম শেষে বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত করে দেওয়া হবে। শুরু হবে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন–প্রক্রিয়া।
দলীয় সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনােই থাকছেন বলে আওয়ামী লীগের নেতারা নিশ্চিত করেছেন। তবে আগ্রহের কেন্দ্রে রয়েছে পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক। এ পদে ওবায়দুল কাদেরের নাম আলোচনায় এলেও সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম স্বপদে থাকার সম্ভাবনা জোরালো হচ্ছে। এছাড়া তানজীম আহমেদ সোহেল তাজের নামও আলোচানয় আছে। এ ছাড়া শেখ হাসিনার ছেলে ও তাঁর তথ্যপ্রযুক্তি–বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ও রয়েছেন আগ্রহের কেন্দ্রে।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ ৮৩টি। নতুন ৮ পদসহ কমিটিতে ১১টি পদ খালি আছে। তা ছাড়া বিগত কমিটির কয়েকজন নেতা কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বাদ পড়তে পারেন বলে একাধিক নেতা শনিবারই জানিয়েছেন।
