আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বর্ণিল সাজে সেজেছে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।
উদ্যানের দক্ষিণ পাশে নৌকাসদৃশ বিশাল আকৃতির মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। উত্তরের ফটকে তৈরি হয়েছে তোরণ। উদ্যানে ঢোকার অন্য পাঁচটি প্রবেশ পথও রঙিন পতাকা শোভিত এখন। পুরো উদ্যান ও এর আশেপাশের এলাকায় আলোক সজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর এসব ঘিরে প্রতিদিনই নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে গমগম করছে এলাকাটি।
আগামী ২২ অক্টোবর এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই ক্ষমতাসীন দলটির জাতীয় তম সম্মেলন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুদিনব্যাপী কাউন্সিল অধিবেশনও হবে এখানেই।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়া আওয়ামী লীগ এবার ২০তম সম্মেলন করতে যাচ্ছে। সম্মেলনের প্রচার-প্রচারণা ইতোমধ্যে এগিয়ে চলছে। এবারের সম্মেলনের স্লোগান ঠিক হয়েছে- শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলেছি দুর্বার, এখন সময় বাংলাদেশের মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার।
সম্মেলনের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রস্তুত করার কাজ প্রায় শেষ বলে জানান সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির নেতারা। মঞ্চ ও সাজ সজ্জা উপ-কমিটির সদস্য সচিব মির্জা আজম মঙ্গলবার বলেন, প্রস্তুতি গুছিয়ে আনা হয়েছে। এখন শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে। মঞ্চের দুপাশে আওয়ামী লীগের ৭৮টি সাংগঠনিক জেলা কমিটির নেতাদের দলীয় পতাকা উড়ানোর জন্য ৭৮টি স্ট্যান্ড রাখা হয়েছে। উদ্যানে ঢোকার ছয়টি প্রবেশপথও সাজানো হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ হাসিনার ছবি শোভা পাচ্ছে উদ্যানে প্রবেশের পথ থেকে মঞ্চ পর্যন্ত। শিশু পার্কের পাশের ফটকটিতে বড় তোরণ তৈরি হয়েছে। এই ফটক দিয়ে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা ঢুকবেন। বিদেশি অতিথিরাও এই ফটক ব্যবহার করবেন।
তিনি জানান, মঞ্চ এবং আশপাশের ২৮টি এলিডি পর্দায় পুরো অনুষ্ঠান প্রদর্শিত হবে। উদ্যান এলাকা থাকবে ওয়াইফাইয়ের আওতায়। মঞ্চের বাম পাশে রাখা হয়েছে পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। বাংলা একাডেমির ফটকের ভেতরে সিআরআই, বঙ্গবন্ধু জাদুঘর, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের স্টল করা হয়েছে।
সম্মেলন সফল করার জন্য বেশ কিছু দিন আগে থেকেই উদ্যানে স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করছেন। করা হয়েছে অভ্যর্থনা, মঞ্চ ও সাজসজ্জা উপ-কমিটির অস্থায়ী কার্যালয়ও। যেখানে প্রতি দিন কয়েক হাজার নেতা-কর্মী বসছেন। পাশাপাশি সম্মেলনে নিরাপত্তার জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও এর আশপাশে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে বলে জানান শাহবাগ থানার ওসি।