চাঁদপুর শহরে ট্যাংক লরি থেকে এক গুদামে জ্বালানি তেল নামানোর সময় বিস্ফোরণের পর পাশের এক ভবনে আগুন লেগে সাতজন দগ্ধ হয়েছেন; আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২০ জন।
বুধবার রাত ১২টার দিকে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে এ ঘটনা ঘটে বলে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি ওয়ালী উল্লা জানান।
খোকনকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি ছয়জনকে পাঠানো হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
চাঁদপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক বলেন, দগ্ধদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের শরীরের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে।
ঘটনার বিবরণে ওসি জানান, তিন তলা যে ভবনে আগুন লেগেছে, তার নিচতলায় মিজানুর রহমান নামের এক ব্যবসায়ীর তেলের গুদাম। আর রাস্তার ঠিক উল্টো দিকেই তার দোকান যমুনা অয়েল এজেন্সি।
রাতে রাস্তার ওপরে রাখা ট্যাংক লরি থেকে মিজানুরের গুদামে তেল সরবরাহের সময় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে এবং লরিতে আগুন ধরে যায়।
“মুহূর্তের মধ্যে ওই তিনতলা ভবনসহ আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। নিচতলার গুদামে অকটেন, ডিজেলের কয়েকশ তেলের ড্রাম ছিল, ফলে আগুন চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে।”
এতে সাতজন দগ্ধ হন; ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে এবং হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে ২০ জন আহত হন।
ঘটনাস্থলে থাকা চাঁদপুর পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জানান, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দুটি মোটরসাইকেলের গ্যারেজসহ ৫/৬টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
চাঁদপুর উত্তর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. ফারুক আহমেদ বলেন, “ট্যাংক লরিতে আগুন ধরার পর তা পাশের তিনতলা ভবনের নিচতলায় থাকা এলপি গ্যাস, ডিজেল ও অকটেনের গোডাউনে ছড়িয়ে পড়ায় ভয়াবহ আকার ধারণ করে।”