টাকাগুলো জমিয়েছিলেন অনেকটা তিল তিল করেই। ভেবেছিলেন, ওই টাকায় বিয়ের সানাই বাজবে মেয়ের। কিন্তু যে টাকা দিয়ে মেয়ের হাত মেহেদির রঙে রাঙার কথা‚ সেই টাকায় কেনা হল রাইফেল এবং মেহেদির পরিবর্তে সেটাই তুলে দেয়া হলো তার হাতে!
মেয়ে শ্যুটার, তার স্বপ্ন অলিম্পিকের মঞ্চ মাতানো, বিয়ের মঞ্চ নয়। অগত্যা তাই মেয়ের স্বপ্ন-পূরণে বিদেশি রাইফেলই কিনে দিলেন অটো-চালক বাবা। তাও ৫ লাখ রুপি খরচ করে।
মণিলাল গোহিল নামের ওই বাবা অটো চালান ভারতের আহমেদাবাদের রাস্তায়। তার মেয়ে গত ৪ বছর ধরে শ্যুটিং অনুশীলন করে আসছেন। এর সবই হচ্ছে একটি ক্লাবে এবং সবটাই ধার করা রাইফেলে।
মণিলাল বুঝলেন‚ দামী বিদেশি রাইফেল একান্তই দরকার মেয়ে মিত্তলের। তাই মনের সব দ্বিধা সরিয়ে রেখে বিয়ের জন্য জমানো টাকায় মেয়ের হাতে তুলে দিলেন অত্যাধুনিক জার্মান রাইফেল।
মিত্তল ইতোমধ্যেই ধার করা রাইফেল দিয়েই জাতীয় স্তরে পদক জিতেছেন। এবার বাবার দেওয়া রাইফেল দিয়ে লক্ষ্যভেদ করতে চান আগামী অলিম্পিক আসরে।
শ্যুটিং-এর মতো মহার্ঘ্য খেলার ব্যয়ভার একজন অটো-চালকের পক্ষে বহন করা চাট্টিখানি কথা নয়। এই খেলায় প্রতিটা টুর্নামেন্টে লাগে ১০০০ রাউন্ড বুলেট, যেখানে একটা বুলেটের দাম পড়ে ৩১ রুপি করে।
এই বাস্তবতায়ও ২৭ বছরের মেয়ের স্বপ্ন অকালে ঝরে যেতে দেবেন না মণিলাল। অটোর স্টিয়ারিং হাতেই মেয়েকে পাঠাতে চান অলিম্পিকে। স্বপ্ন, সাক্ষী-সিন্ধু-দীপার মতো একদিন ভারতের মুখ উজ্জ্বল করুক মেয়ে মিত্তলও।
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।
প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।