জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক প্রত্যাহার করে নেওয়া হলে তা ‘আত্মঘাতী’ সিদ্ধান্ত হবে বলে সরকারকে সতর্ক করেছে বিএনপি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “তারা (সরকার) এ রকম একটি সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। এই সংবাদে আমরা এবং গোটা জাতি বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন হয়েছি।”
জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক প্রত্যাহারের জন্য সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে শুক্রবার প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে দুটি পত্রিকায়, যা নিয়ে বিএনপির এই প্রতিক্রিয়া।
দৈনিক যুগান্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়, মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে উপস্থিত এক সদস্য ‘নাম প্রকাশ না করার শর্তে’ তাদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কমিটির সুপারিশে প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিলে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, জিয়াউর রহমানের সামরিক শাসন অবৈধ ঘোষণা করে উচ্চ আদালতের রায়ের বিষয়টি উল্লেখ করে গত জুলাই মাসে ‘সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে একটি নথি কমিটিতে পাঠানো হয়। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই মন্ত্রিসভা কমিটি পদক প্রত্যাহারের সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল বলেন, “যিনি পদক প্রবর্তন করলেন, তিনি বাদ। কিন্তু পদক থাকবে, তার কীর্তিও থাকবে। এটা যে কত বড় সংকীর্ণতা, আত্মঘাতী ও নোংরা কাজ, সেটা আওয়ামী লীগ যেদিন বুঝবে, সেদিন আর শোধরাবারও সুযোগ হয়ত থাকবে না।”
খালেদা জিয়া নেতৃত্বাধীন বিগত চারদলীয় জোট সরকারের সময় ২০০৩ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়। সেই পদক ও তার নথি সংরক্ষণ করা হয় জাতীয় জাদুঘরে।
ফখরুলের ভাষায়, পুরস্কারের সেই ঘোষণা ছিল বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘ঔদার্যের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।”
“আজকে হতাশার সঙ্গে আমরা লক্ষ্য করছি, তারা (আওয়ামী লীগ) ঐক্যের রাজনীতিকে সম্পূর্ণ বিসর্জন দিয়ে গোটা জাতিকে বিভাজনের দিকে নিয়ে এসে বিভক্ত করে ফেলেছে। তারা সচেতনভাবে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে এই জাতিকে বিভাজনের রাজনীতিতে পুরোপুরি ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে।”
সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “যারা গায়ের জোরে নোংরাভাবে জিয়াউর রহমানকে মুছতে চাইছে, তাতে তিনি ফিরলে হয়ত একইভাবে তারাও মুছে যেতে পারেন।”