হাজারীবাগ থেকে না সরানো পর্যন্ত ১৫৪ ট্যানারিকে পরিবেশের ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রতিদিন ১০ হাজার টাকা করে সরকারি কোষাগারে জমা দিতে বলেছে আপিল বিভাগ।
অনুদান হিসেবে এই অর্থের অর্ধেক সরকারকে বাংলাদেশ লিভার ফাউন্ডেশনে জমা দিতে বলা হয়েছে।
হাই কোর্ট ক্ষতিপূরণ হিসেবে হাজারীবাগের ট্যানারিগুলেকে প্রতিদিন ৫০ হাজার টাকা করে সরকারি কোষাগারে জমা দিতে বলেছিল।
এর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়ার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যানের করা আবেদনের নিষ্পত্তি করে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ ক্ষতিপূরণের নতুন অংক ঠিক করে দেন।
২০০১ সালে হাইকোর্ট এক রায়ে হাজারীবাগ থেকে সাভারে ট্যানারি শিল্প সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেয়। এরপর ২০০৯ সালের ২৩ জুন আরেক আদেশে ট্যানারি সরানোর জন্য ২০১০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে সরকারপক্ষের আবেদনে ঐ সময়সীমা কয়েক দফা বাড়ানোর পরও ট্যানারি স্থানান্তরের হাইকোর্টের আদেশ বাস্তবায়ন হয়না।
এরপর রিটকারী সংগঠনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ওই দশ প্রতিষ্ঠানের মালিককে তলব করে। এই তলবের মধ্যেই একটি জাতীয় দৈনিক ট্যানারি শিল্প নিয়ে দুটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনের শিরোনামে বলা হয় ‘হাজারীবাগ ট্যানারি মুক্ত হতে আরও দুই বছর!’ এবং ‘নেতাদের ট্যানারির কাজ এগোয়নি’ ।
এরপর অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ প্রতিবেদন দুটি যুক্ত করে গত এপ্রিল মাসে হাইকোর্টে আরো একটি আবেদন করেন। ওই আবেদনে গত ১৩ এপ্রিল হাইকোর্ট হাজারীবাগের ট্যানারি শিল্পের বর্তমান চিত্র প্রতিবেদন আকারে আদালতে দাখিল করতে শিল্প সচিবকে নির্দেশ দেন।
ঐ নির্দেশ মোতাবেক শিল্প সচিবের পক্ষে ১৬ জুন আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই প্রতিবেদনে ১৫৫টি ট্যানারি প্রতিষ্ঠানের নামের তালিকা তুলে ধরা হয়।
এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শুধুমাত্র রিলায়েন্স ট্যানারি লিমিটেড নামক একটি প্রতিষ্ঠানটি সাভারে তাদের নামে বরাদ্ধকৃত প্লটে ট্যানারি কারাখানা চালু করেছে মর্মে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
ওই প্রতিবেদন পাওয়ার পরেই হাইকোর্ট ঐ ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য ট্যানারি মালিকদের নির্দেশ দেয়।
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।
প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।