যুদ্ধাপরাধের পাঁচ অভিযোগে গতবছর ২৬ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল এই আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, “মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষ হয়েছে। আদালত রায় অপেক্ষমাণ রেখেছেন। এখন যে কোনো দিন রায় ঘোষণা হতে পারে।”
চলতিবছর ২৯ এপ্রিল এই আট আসামির বিরুদ্ধে প্রসিকউশনের দাখিল করা আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল।
গত ২ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর পুলিশ শামসুল ও ইউসুফকে গ্রেপ্তার করে।
নিয়ম অনুযায়ী বাকিদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও তারা তা করেনি।
গ্রেপ্তার শামসুল হক জামালপুর জেলা জামায়াতের সাবেক আমির এবং সিংহজানি স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক ইউসুফও একসময় জামায়াতের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন।
এই দুইজন একাত্তরে রাজাকার বাহিনীতে এবং বাকি ছয়জন আলবদর বাহিনীতে ছিলেন বলে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার অভিযোগ।
এ মামলায় আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মোখলেছুর রহমান বাদল, ব্যারিস্টার তুরীন আফরোজ, জাহিদ ইমাম ও রেজিয়া সুলতানা চমন।
দুই আসামি শামসুল হক ও ইউসুফ আলীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম।
এ ছাড়া পলাতক আসামি আশরাফ হোসেন, শরীফ আহমেদ ও আব্দুল মান্নান পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার এবং পলাতক আব্দুল বারি, হারুন ও আবুল হাশেম পক্ষে কতুবউদ্দিন আহমেদ মামলা লড়েন।