প্রথম দুই ধাপের গোলযোগ-সহিংসতার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ‘শক্ত অবস্থানে’ তৃতীয় ধাপে ৬২০ ইউনিয়ন পরিষদের ভোট সুন্দরভাবে হওয়ার প্রত্যাশায় আছে নির্বাচন কমিশন।
দেশের ৪৮ জেলার ৬২০ ইউপিতে এই ভোটের প্রার্থীদের সব ধরনের প্রচার শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার প্রথম প্রহরে। শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট চলবে এসব এলাকায়।
ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ-সচিব সামসুল আলম জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে রয়েছে, নির্বাচনী সামগ্রী শুক্রবার বিকালের মধ্যে সব কেন্দ্রে যাবে। পাবর্ত্য এলাকায় হেলিকপ্টারে যাবে নির্বাচনী মালামাল।
সুষ্ঠু ভোটের জন্য সঠিক অভিযোগ পেলে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনিয়ম ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে গাজীপুরে একজন এসপি ও দুইজন ওসিকে এবং গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
তৃতীয় ধাপের ভোটে চেয়ারম্যান পদে মোট ১৪টি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী রয়েছে ১ হাজার ৪৮৭ জন এবং স্বতন্ত্র ১ হাজার ১৮৫ জন।
দলীয় প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগের ৬২০ জন, বিএনপির ৫৩৯ জন, জাতীয় পার্টির ১৬৭ জন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জাসদের ২৬ জন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ১২ জন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ৯২ জন, জাতীয় পার্টি- জেপির ৩ জন, খেলাফত মজলিসের ২ জন, বিকল্পধারার ৩ জন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির ৫ জন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের ১০ জন, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের ৩ জন এবং বাসদের ১ জন ও অন্যান্য দলের ৪ জন।
এসব ইউপিতে মোট ভোটার ১ কোটি ৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৫৫ জন। ভোটের দিন সাড়ে ছয় হাজারের বেশি কেন্দ্রে লক্ষাধিক ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দেড় লাখের মতো সদস্য নিয়োজিত থাকবে।