যদিও ওজন কমানো খুব কঠিন একটি কাজ তবে কাজটি অসম্ভব নয়। সবচেয়ে বড় কথা কোন ধরনের ম্যাজিক দিয়ে ওজন weight কমানো সম্ভব না। এর জন্য প্রয়োজন জীবন যাত্রায় পরিবর্তন আনা যার ফলে আপনি আপনার ওজন কমানোর কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন পূরণ করতে পারবেন এবং শরীরের সুন্দর একটি গঠন পাবেন।
নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম ও একটি স্বাস্থ্যকর খাবার তালিকা অনুসরণ করার মাধ্যমে সঠিক উপায়ে শরীরের বাড়তি মেদ ঝড়ানো সম্ভব।
এখানে ৬ টি স্বাস্থ্যকর পানীয়ের কথা জানাচ্ছি যা ওজন কমাতে সাহায্য করে-
১/ লেবুর শরবত –
অস্বীকার করার উপায় নেই যে ওজন কমানোর জন্য প্রথম যে পানীয়টির কথা মনে এসে সেটা হল লেবুর শরবত। সকালে খালি পেটে লেবুর শরবত ওজন কমানোর গতিতে ত্বরান্বিত করে, দেহকে দূষণ মুক্ত করতে সাহায্য করে এবং সারাদিন ঝরঝরে রাখে।
২/ গম পাতার রস –
শুনে হয়তো অনেকের অবাক লাগতে পারে কিন্তু এটি আমাদের দেহের জন্য খুবই উপকারী। দেহের দূষণ দূর করার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে গম পাতার রস খাওয়া যা দেহের ওজন কমাতে ঔষধের মত কাজ করে। এটি পটাসিয়ামে ভরপুর যা দেহের ক্যালরি বার্ন করতে সাহায্য করে এবং এতে আরো রয়েছে খাদ্যআঁশ যা পেট ভরা থাকার অনুভূতি দেয়।
৩/ ডালিমের জুস –
প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই পানীয়টি দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এছাড়া এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ওজন কমানোর গতিকে ত্বরান্বিত করে।
৪/ ক্রানবেরি জুস –
এই জুসটিও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের বেশ শক্তিশালী একটি উৎস যা দেহের সংরক্ষিত চর্বির ভাঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।
৫/ গাজরের জুস –
এই পানীয়টি ভরপুর থাকে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যারোটিন এবং ভিটামিন এ, বি১, বি৩, বি৬, সি এবং কে দিয়ে। এবং সেই সাথে এতে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা দেহের বিপাকক্রিয়াকে উন্নত করে এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৬/ বিট জুস –
এটি সত্যিকার ভাবেই একটি স্বাস্থ্যকর পানীয় কারণ এতে থাকে উচ্চ পরিমাণে ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, জিংক ও খাদ্যআঁশ এবং সেই সাথে ভিটামিন এ, বি৬, সি, ডি এবং কে। ভিটামিন এবং খাদ্যআঁশ দেহ থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে যার ফলে দেহের ওজন কমে।
এই পানীয় গুলো যারা ওজন কমাতে চান শুধু তারাই নন বরং সবার দেহের সুস্থতার জন্যও সাহায্য করে। তাই আর দেরি না করে আজ থেকেই পান করা শুরু করুন এসব পানীয়ের যেকোনো একটি বা একাধিকটি এবং ওজন কমানোর গতিতে করুন ত্বরান্বিত।