নগরের আবাসিক এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতালসহ অননুমোদিত এবং অনুমোদিত সব ধরনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ছয় মাসের মধ্যে সরানোর কথা বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে বন্ধ হচ্ছে গেস্ট হাউজ ও বারও।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মন্ত্রিপরিষদের সাপ্তাহিক নিয়মিত বৈঠকে একথা বলা হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব সাংবাদিকদের একথা জানান।
এই সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলো সরে না গেলে তাদের গ্যাস-বিদ্যুৎ ও পানির লাইন কেটে দেওয়া হবে, ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করা হবে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে কোনো কর ও মূসক নেওয়া হবে না।
আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে আবাসিক এলাকার অবৈধ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ছয় মাসের মধ্যে রাজউক, গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ, সিটি করপোরেশন ও সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সমন্বিত অভিযান পরিচালনারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। ছয় মাসের সময় গণনা আজ থেকে শুরু হচ্ছে।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে হওয়া অন্য সিদ্ধান্তগুলো হলো আবাসিক এলাকায় পার্কিংয়ের জন্য রাখা জায়গায় কোনো স্থাপনা থাকলে তা সরিয়ে ফেলতে হবে। কোনো বার থাকলে সেই বারের লাইসেন্স বাতিল করতে হবে।
নতুন করে আবাসিক এলাকায় কোনো বারের লাইসেন্স দেওয়া যাবে না। গেস্ট হাউস থাকলে তা সরাতে হবে। এই সিদ্ধান্তগুলো আগামী ছয় মাসের মধ্যে কার্যকর করতে হবে।
অনুমতি নিয়ে করা বাণিজ্যিক স্থাপনাগুলোও পর্যায়ক্রমে সরাতে হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব সাংবাদিকদের বলেন, আবাসিক এলাকার চরিত্র ও বৈশিষ্ট্য ফিরিয়ে আনতে এই সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয়েছে। আতঙ্ক সৃষ্টি করে নয় বরং মানুষকে বুঝিয়ে তাঁদের সঙ্গে নিয়ে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে।