প্রায় অনেকেরই খাবারের পর দই পছন্দ। দই হলে খাবারের স্বাদ যেন পূর্ণতা পায়। আর তা যদি হয় ‘মিষ্টি দই’ তাহলে তো কথাই নেই। এই দই আবার সাস্থ্যের পক্ষেও খুবই উপকারি একটি উপাদান।
দই এর জন্য বাংলাদেশে বিখ্যাত হচ্ছে বগুড়া জেলা। তাই বলে প্রতিবার খাবারের পর তো আর বগুড়া যাওয়া সম্ভব নয়। তাই আজকে আপনাদের শিখিয়ে দিচ্ছি কিভাবে ঘরেই জমিয়ে ফেলতে পারবেন সুস্বাদু ‘মিষ্টি দই’।
উপকরণ
- দুধ ১ লিটার
- ১ কাপ পানি
- চিনি ২০০ গ্রাম
- দইয়ের বীজ ২ টেবিল চামচ
- ১ টি মাটির পাত্র
দইয়ের বীজ তৈরির পদ্ধতি:
দইয়ের বীজ দুভাবে নেয়া যায়
১) আগের দই থেকে ২ টেবিল চামচ সরিয়ে রাখুন।
২) ১ কাপ দুধে ১ কাপ পরিমাণে গুঁড়ো দুধ দিয়ে ভালো করে জ্বাল দিয়ে ক্ষীরসা তৈরি করে নিন। এটিই দইয়ের বীজ হিসেবে কাজ করবে।
দই জমানোর পদ্ধতি:
একটি পাত্র দুধ নিয়ে এতে ১ কাপ পানি মিশিয়ে মাঝারি আঁচে জ্বাল দিতে থাকুন। দুধ জ্বাল দিয়ে অর্ধেক পরিমাণে হয়ে এলে এতে চিনি দিয়ে ভালো করে নেড়ে দিন। দুধ আরও ঘন হয়ে এলে চুলা থেকে নামিয়ে কিছুক্ষণ ঠাণ্ডা হতে দিন। আঙুল ডুবিয়ে দেখুন গরম সহ্য করা যায় কিনা। এই ধরণের গরম থাকতে দুধে দইয়ের বীজ দিয়ে ভালো করে নেড়ে মিশিয়ে নিন।
এরপর মাটির পাত্রে ঢেলে ভারী মোটা কাপড় বা চটের কিছু দিয়ে ঢেকে অন্ধকার ও ঠাণ্ডা জায়গায় রেখে দিন ৬-৭ ঘণ্টা। ৬-৭ ঘণ্টার মধ্যে দই জমে যাবে। যদি ঠাণ্ডা দই খেতে চান তবে ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করুন। এরপর ফ্রিজ থেকে বের করে পরিবেশন করুন বগুড়ার বিখ্যাত দইয়ের মতোই সুস্বাদু ঘরে জমানো পারফেক্ট ‘মিষ্টি দই’।