ঢাকায় আগামী দেড় থেকে দুই বছর পর কোনো ময়লা-আবর্জনা খুঁজে পাওয়া যাবে না বলে আশা করছেন সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। শনিবার রাজধানীর পুরান ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন সড়কের পাশে ‘পরিচ্ছন্ন বছর-২০১৬’ উদ্বোধন উপলক্ষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের আর মাত্র এক-দেড়-দুই বছর সময় লাগবে। দুই বছরের মধ্যে খোঁজলেও আপনারা আর ময়লা-আবর্জনা পাবেন না। এ জন্য আমাদের যা কিছু করা দরকার তাই করবো।’
কামাল বলেন, ‘আমার কাজ রাস্তা বড় করা, করবো। রাস্তা মেরামত করা। আগামীতে কোনো ভাঙা রাস্তা পাবেন না। এর জন্য যা কিছু করা দরকার তাই করবো। আপনারা এগিয়ে আসেন। সবই ঠিক হয়ে যাবে।’
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘পুরান ঢাকা আমাদের ঠিকানা। এটাকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে পারলে আমাদের ঠিকানা খুঁজে পাওয়া যাবে। আমরা এ ঢাকাকে কেন স্বপ্নের মাধুরী মিশিয়ে মনের মতো করতে পারবো না? প্রত্যেক ধর্মেই বলা হয়েছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ।’
পুরান ঢাকায় অবস্থিত কেন্দ্রীয় জেলখানা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘খুব দ্রুতই এ জেলাখানাটি স্থানান্তর করা হবে। এ জেলাখানা হবে যাদুঘর। এখানে থাকবে বিনোদন কেন্দ্র, বাগানবাড়ি। ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যেই তা পাস করা হবে।’
অনুষ্ঠানে অংশ নেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের (ওয়ান ডে) অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।
তিনি বলেন, ‘আমাদের স্লোগান ‘ঢাকা ক্লিন- টু থাউজেন্ট সিক্সটিন’। আমরা চাইলে সব পারি। জাতি হিসেবে আমরা মানসিকভাবে শক্তিশালী। আমাদের নগরীকে আমাদেরই সাজাতে হবে।’
সভাপতির বক্তৃতায় দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন নগরবাসীকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনার সাত মাস আগে ভোট দিয়ে আমাদেরকে নির্বাচিত করেছেন। সেদিন আমরা আপনাদের কাছে ওয়াদা করেছিলাম নগরীকে বর্জ্য মুক্ত রাখবো। কিন্তু এক জন মেয়র ও তার কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর দিয়ে নগর পরিষ্কার করা সম্ভব নয়। এজন্য আপনাদের এক এক জনকে এক এক জন মেয়র হিসেবে দেখতে চাই। এজন্য আমি এ শহরের প্রতিটি বিবেকবান মানুষকে আহ্বান জানাচ্ছি। আসুন আমরা সচেতন হই।’
মেয়র ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘আগামী ১৫ জানুয়ারির পর একযোগে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০০ ভাঙা রাস্তার মেরামত কাজ শুরু হবে।’
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন- ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মো. বিল্লাল, ৩৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রঞ্জন বিশ্বাস, ৩৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুর রহমান নিয়াজী প্রমুখ।