শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া মানবতাবাদী মাদার তেরেসার সেইন্টহুড পাওয়ার ক্ষেত্রে শেষ বাধা দূর হয়েছে।
বিবিসি বলছে, ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে রোমে ক্যাথলিক এই নানকে ‘সেইন্ট’ ঘোষণা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ভ্যাটিকানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সেইন্টহুড পাওয়ার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় যে আশ্চর্যজনক ঘটনার প্রয়োজন ছিল তা প্রমাণিত হয়েছে। পোপ ফ্রান্সিস ঘটনাটির স্বীকৃতি দিয়েছেন।
একজন ব্রাজিলিয়ানের মস্তিষ্কে বেশ কয়েকটি টিউমার ধরা পড়েছিল। কিন্তু তিনি আরোগ্য লাভ করেছেন। আশ্চর্য এই ঘটনাকে মাদার তেরেসার আশীর্বাদ বলেই ভ্যাটিকান নিশ্চিত হয়েছে।
১৯৯৭ সালে মাদার তেরেসা কলকাতাতে মৃত্যুবরণ করেন। ২০০৩ সালে সেইন্টহুড পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ অতিক্রম করেন তিনি।
১৯৯৮ সালে মনিকা বেসরা নামের এক নারীর পেটে ধরা পড়া ক্যান্সার সেরে যায়। তেরেসার আশীর্বাদের কারণেই ওই নারী আরোগ্য লাভ করেছিলেন বলে তৎকালীন পোপ দ্বিতীয় জন পল স্বীকৃতি দিয়েছিলেন।
‘সেইন্ট’ খেতাব পেতে হলে অন্ততপক্ষে দুটি আশ্চর্যজনক ঘটনার প্রমাণ প্রয়োজন হয়।
তেসেরা দরিদ্রদের সহায়তার জন্য ১৯৫০ সালে ভারতের কলকাতায় মিশনারিজ অব চ্যারিটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি ১৯৭৯ সালে পেয়েছিলেণ নোবেল পুরস্কার।
তিনি ১৯১০ সালে ম্যাসিডোনিয়ায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার বাবা-মা ছিলেন আলবেনিয়ান।
সেবামূলক কর্মের জন্য বিশ্বব্যাপী সুনাম অর্জন করেছিলেন মাদার তেরেসা।
অবশ্য সমালোচকদের অভিযোগ, মাদার তেরেসা একজন একনায়ক ও কট্টরপন্থি ক্যাথলিকের মিশ্রণ।