বিগত ভয়াবহ বন্যায় উজান থেকে নেমে আসা পানির সাথে পলি পড়ে যমুনা, ব্রহ্মপুত্র ও শাখা নদির দু-ধারে কৃষি জমিগুলোতে। পানি ছাড়ার সাথে সাথে কৃষকরা প্রতি বছরের ন্যায় বপন করে মরিচ বীজ। আর তাই বিগত বছরের তুলনায় এবার মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে।
বাজার দাম খুব ভালো থাকলেও বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পেতে জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করায় কৃষকরা পড়েছে বিপাকে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, জেলার কয়েকটি উপজেলার মরিচ বিখ্যাত হাঁটগুলো বিকেলে বসতো। বিভিন্ন জেলা থেকে মরিচের পাইকাররা আসতো এই সব হাটে মরিচ ক্রয় করতে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পেতে জেলা প্রশাসনের নিয়ম সকাল ৭টা-দুপুর ২টা পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করায় চাষিরা বিক্রি করতে পারছেনা মরিচ সহ তাদের উৎপাদিত পন্য সামগ্রী।
মেলান্দহ হাট ও ইসলামপুর উপজেলার ৪ নং চর, হরিণধরা, বেনুয়ারচর বাজার, চিনারচর, কড়ই তলা বাজার, টানাব্রীজ বাজার, নাফিতেরচর বাজার, শ্রীবর্দী উপজেলা ঝগড়ার চর বাজার, বেলুয়া বাজার, মরিচের হাটে এমনি কয়েকজন মরিচ চাষীদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, আজ আমরা হাটে আসছি মরিচ বেঁচাকেনা হয় কিনা তা দেখার জন্য।
প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার মরিচের ফলন খুবই ভালো, প্রতি মণে ৮-৯ হাজার টাকা দাম, তবুও আমরা হতাশায় আছি। মরিচ বেচতে না পারায় একদিকে ঘরে নেই খাবার অপরদিকে ধানের ক্ষেতে সেচ দেওয়ার জন্য নেই ডিজেল। আমরা গ্রামঞ্চলের মানুষ, সকালে উঠেই কৃষি কাজে চলে যাই বিকালে হাট বাজারে আসি। আর তাই প্রশাসন যদি এই গ্রামাঞ্চলের হাটগুলো বিকালের বসার অনুমতি দিতো তবে আমাদের খুবই ভালো হতো।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান বলেন, কৃষিপণ্য আমাদের গণবিজ্ঞপ্তির আওতামুক্ত। সরকার প্রজ্ঞাপন দিয়েছেন সন্ধ্যা ৬ টার পর কেউ ঘরের বাইরে থাকতে পারবেননা, সুতারাং আমরা কোনক্রমেই বিকালে হাট-বাজার বসার অনুমোতি দিতে পারিনা।