প্রভাবশালীসহ দুর্নীতি মামলার কোনো আসামিকে ছাড় দেয়া হবে না উল্লেখ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)সচিব বলেছেন, ‘তদন্তের স্বার্থে যে কোনো আসামিকেই গ্রেপ্তার করতে পারে দুদকের তদন্তের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা। তিনি যাকে মনে করবেন তদন্ত স্বার্থে গ্রেপ্তার করতে পারবেন। এক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’
বৃহস্পতিবার দুপুরের রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে নিয়মিত মাসিক সংবাদ সম্মেলনে দুদকের মামলায় সারাদেশে আসামি গ্রেপ্তারের হঠাৎ তৎপরতার বিষয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রভাবশালীদের গ্রেপ্তার করা হবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্ত তদন্ত কর্মকর্তা নেন। তিনি তাঁর তদন্তের স্বার্থে যেকোনো আসামিকেই গ্রেপ্তার করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে প্রভাবশালীদের গ্রেপ্তারে কোনো বাধা নেই।
বাংলাদেশ ব্যাংকর রিজার্ভ চুরির বিষয়ে দুদকের সচিব বলেন, এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও পুলিশের গোয়েন্দা শাখা অনুসন্ধান করছে। এখন পর্যন্ত দুদক এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে দুদক নজর রাখছে। প্রয়োজন হলে অনুসন্ধানের বিষয়টি আমলে নেওয়া হবে। পানামা পেপারস কেলেঙ্কারিতে বাংলাদেশের যারা জড়িত, সে বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধানের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ নিয়ে আমাদের অনুসন্ধান চলছে। এ পর্যায়ে মন্তব্য করাটা সমীচীন হবে না।’
প্রেস ব্রিফিংয়ে লিখিত বক্তব্যে দুদক সচিব বলেন, মার্চ মাসে ৮৪৯টি দুর্নীতিসংক্রান্ত অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময়ে অনুসন্ধান শেষে ৩৪টি মামলা করা হয়েছে এবং অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে ৪৫টি মামলায়। এ ছাড়া জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত মোট ৯৪টি মামলা করা হয়।
তিনি জানান, গত তিন মাসে ১৫১টি মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়েছে। মার্চ মাসে দুদকের ২১টি মামলার বিচারকাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০টি মামলার আসামিদের সাজা হয়েছে এবং ১১টি মামলার আসামিরা খালাস পেয়েছেন।
ব্রিফিংয়ে দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) ছিলেন।