গত এক দশকে বাংলাদেশে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬৯ শতাংশ ও মৃত্যু ৭৬ শতাংশ কমেছে। সর্বশেষ ২০১৯ সালে দেশে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ১৭ হাজার ২২৫ জন ও মৃতের সংখ্যা ছিল ৯ জন। আক্রান্ত মোট রোগীর ৯১ শতাংশই তিন পার্বত্য জেলা- রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ির।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিস বাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির উদ্যোগে অনলাইনে বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস পালনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘আমি করব ম্যালেরিয়া নির্মূল’।
শনিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক রোগ নিয়ন্ত্রণ ও লাইন ডাইরেক্টর কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোলের অধ্যাপক ডাক্তার শাহ নীলা ফেরদৌসী।
জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিস বাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির প্রোগ্রাম ম্যানেজার (পিএম) ডা. আফসানার সঞ্চালনায় উদ্বোধনী কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশি প্রতিনিধি ডা. বর্ধন জং রানাও, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মেডিকেল অফিসার ডা. নিয়া সাফেল।
বাংলাদেশের ম্যালেরিয়ার সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে ডা. আফসানা জানান, দেশে মোট ১৩ জেলার ৭২ উপজেলা ম্যালেরিয়া প্রবণ। ম্যালেরিয়া রোগীর ৯১ শতাংশই তিন পার্বত্য জেলা- রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ির।
২০১৯ সালে বাংলাদেশে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল সর্বমোট ১৭ হাজার ২২৫ জন ও মৃতের সংখ্যা ছিল ৯ জন। গত এক দশকে বাংলাদেশে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬৯ শতাংশ ও মৃত্যু ৭৬ শতাংশ কমেছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক রোগ নিয়ন্ত্রণ ও লাইন ডাইরেক্টর কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোলের অধ্যাপক ডাক্তার শাহ নীলা ফেরদৌসী জানান, আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া অন্য সব জেলা থেকে ম্যালেরিয়া নির্মূলের লক্ষ্যে কার্যক্রম গৃহীত হয়েছে। আগামী ২০৩০সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ম্যালেরিয়া মুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারিসহ সবার সহযোগিতা প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন।