বৈশ্বিক মহামারি করোনার ছোবলে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘসময় যাবৎ বন্ধ রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে বন্ধ হয়ে গেছে বেসরকারিভাবে পরিচালিত কাজিপুরের অর্ধশত কিন্ডারগার্টেনের কার্যক্রম। এর ফলে কর্মহীন হয়ে পড়া এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পরিচালক ও শিক্ষক-কর্মচারীদের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে।
কাজিপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসসূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চর-বিড়া অঞ্চল মিলে ৫০টির মতো কিন্ডারগার্টেন রয়েছে। ১০ হাজার শিক্ষার্থী এসব প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করছে। এদের মধ্যে সমাপনী পরীক্ষায় কাজিপুর উপজেলায় শীর্ষস্থানও এসব প্রতিষ্ঠান ধরে রেখেছে। এর ফলে অনেক বাবা-মা তার সন্তানদের কিন্ডারগার্টেনে ভর্তি করে। কাজিপুরের কিন্ডারগার্টেনগুলোতে কর্মরত আছেন প্রায় সাত শ শিক্ষক-কর্মচারী। প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের বেতনও বন্ধ হয়েছে। বন্ধ রয়েছে এসব শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন। এর ফলে কোনোদিক থেকেই তারা উপার্জন করতে পারছেন না। এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের অর্থবিত্ত না থাকলেও সমাজে তারা শিক্ষক হিসেবেই সম্মানীয়। ফলে তারা না পারছে লাইনে দাঁড়িয়ে ত্রাণ নিতে, না পারছে মুখ ফুটে কাউকে কিছু বলতে।
কাজিপুর উপজেলা আন্তকিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনে সভাপতি শাহ আলম জানান, অর্থ না থাকলেও শিক্ষক পরিচিতির কারণে আমরা অন্যের নিকট সাহায্য চাইতে পারি না। কিন্তু আমাদের অনেকেরই চলা কঠিন হয়ে পড়েছে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লিটন জানান, চলমান দুর্যোগে আমাদের শিক্ষক-কর্মচারীদের সরকারি সহায়তার আবেদন জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে কিন্ডারগার্টেন মালিকদেরও সরকারি প্রণোদনার দাবি জানাচ্ছি।
কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হাসান সিদ্দিকী জানান, আমরা তাদের বিষয়টি চিন্তা করছি। আশা করছি তারাও সহায়তার আওতায় আসবে। কাজিপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি খলিলুর রহমান সিরাজী জানান, শিক্ষাক্ষেত্রে কাজিপুরের কিন্ডারগার্টেনগুলো অনেক ভালো করছে। এই বিপদে আমরা তাদের পাশে রয়েছি। তাদের সহায়তার জন্য আমরা কাজ করছি।