মঙ্গলবার, মে ৭, ২০২৪

যশোরের পদযাত্রায় পুলিশের ব্যাপক লাঠিপেটা ও ধরপাকড়

যা যা মিস করেছেন

 

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে দেশব্যাপী ঘোষিত বিএনপির ইউনিয়ন পর্যায়ের পদযাত্রায়
যশোরে পুলিশের লাঠিপেটা ও ব্যাপক ধরপাকড়ের মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে। পুলিশের ব্যাপক বাধায় কোথাও পদযাত্রা শেষ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেনি। সমাবেশও করতে দেয়নি পুলিশ।
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া ও ফতেপুর ইউনিয়নের পদযাত্রা থেকে পুলিশ দুই কর্মীকে আটক করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্ততঃ ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এর মধ্যে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৬ জন। এছাড়া কর্মসূচির আগের রাতে সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আরো ১২ নেতাকর্মীকে আটক করে নেতাকর্মীদের মনোবল ভেঙ্গে দেওয়ার চেষ্টা করেছে পুলিশ। আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আজ শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেলা তিনটায় যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের বাহাদুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে বিএনপির নেতাকর্মীরা ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে জড়ো হন। কিছুক্ষণের মধ্যে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য তরিকুল ইসলামের স্ত্রী যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক নার্গিস বেগম সেখানে পৌঁছান। ১০ দফা দাবিতে বাহাদুরপুর থেকে বিএনপির পদযাত্রা শুরু হয়। শহরের খাজুরা বাস্ট্যান্ডের দিকে পদযাত্রা অগ্রসর হয়। নওয়াপাড়া মেহগনি মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পুলিশ ব্যানার কেড়ে নেয়। তারপরও ব্যানার বাদেই পদযাত্রা চলতে থাকে। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সামনে পৌঁছালে পুলিশ লাঠি চার্জ করে মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় নেতাকর্মীরাও ইট পাটকেল ছুড়ে লাঠিচার্জের জবাব দেয়। সেখান থেকে এক কর্মীকে আটক করে পুলিশ।

পদযাত্রাটি শহরের শেখহাটি হাইকোর্ট মোড়ে গিয়ে সংক্ষিপ্ত পথসভার মধ্যদিয়ে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও পুলিশি বাঁধার মুখে পদযাত্রা পন্ড হয়ে যায় ফলে মাঝপথেই পদযাত্রা শেষ করতে বাধ্য হন নেতা কর্মীরা।

তাৎক্ষনিকভাবে জানতে চাইলে যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক নার্গিস বেগম বলেন, শান্তিপূর্ণ পদযাত্রাও সরকার সহ্য করতে পারছে না। আমরা পদযাত্রা থেকে শ্লোগান পর্যন্ত দেয়নি। শুধু ১০ দফা দাবি সম্বলিত প্রচার পত্র পথচারি ও দোকানে দোকানে বিলি করেছি। এতেই পুলিশ পিছন থেকে অতর্কিত আমাদের উপর লাঠিচার্জ করে পদযাত্রা পন্ড করে দেয়। এ সময় কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটকও করা হয়েছে।

একই সময়ে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রয়াত তরিকুল ইসলামের ছেলে খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম ফতেপুর ইউনিয়নে পদযাত্রা শুরু করেন। পদযাত্রাটি যশোর-নড়াইল সড়কের দায়তলা এলাকায় পৌছালে পুলিশ প্রথমে বাঁধা দেয়। বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠি চার্জ করে। এ সময় নেতাকর্মীরাও ইট পাটকেল ছুড়ে পুলিশকে জবাব দেয়। পদযাত্রা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে মাসুদুর রহমান নামে স্থানীয় এক যুবদলের নেতাকে পুলিশ আটক করে। এ বিষয়ে পুলিশের বক্তব্য জানার জন্যে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) জুয়েল ইমরান ও কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাজুল ইসলামের ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও কেউ ফোন ধরেননি।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security