শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪

খালেদা জিয়ার অবস্থা আগের মতোই

যা যা মিস করেছেন

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের মতোই রয়েছে। কেবিনে স্থানান্তরের পর থেকে বড় ধরনের রক্তক্ষরণ হয়নি। তবে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় তাকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেয়া নিয়ে কিছুটা শঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বেগম জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের এক চিকিৎসক। শনিবার দুুপুরে তিনি মানবজমিনকে বলেন, বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের মতোই রয়েছে। আজ সকালে তার বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়েছে। ৮ জানুয়ারি কেবিনে স্থানান্তরের পর বড় ধরনের কোন রক্তক্ষরণ হয়নি। প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে বাংলাদেশে তার সুচিকিৎসা হচ্ছে না। তাই যেকোনো সময় আবার তার রক্তক্ষরণ হতে পারে।

এক প্রশ্নের জবাবে মেডিকেল বোর্ডের ওই চিকিৎসক বলেন, করোনা বাড়ার কারণে হাসপাতালে রেখে ম্যাডামের চিকিৎসা নিয়ে আমরা কিছুটা উদ্বিগ্ন।

তবে তার যে অবস্থা বাসায় রেখে চিকিৎসা দেয়াটাও কঠিন হয়ে যাবে। সার্বিক বিষয়ে মেডিকেল বোর্ড বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত নেবেন। আজ সন্ধ্যায় মেডিকেল বোর্ডের বৈঠক রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই চিকিৎসক।
সংশ্নিষ্ট চিকিৎসকরা জানান, গত ১৫ই জানুয়ারি খালেদা জিয়ার গৃহকর্মী ফাতেমা করোনায় আক্রান্ত হন। তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনা ব্লকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বর্তমানে সে সুস্থ রয়েছে। ফাতেমা করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর বেগম জিয়ারও করোনার নমুনা নেয়া হয়। সেখানে তার ফলাফল নেগেটিভ আসে। এদিকে আপাতত রক্তক্ষরণ বন্ধ হলেও খালেদা জিয়া ঝুঁকিমুক্ত হননি। শারীরিক দুর্বলতা এখনও অনেক। খাবারে অরুচি রয়েছে। কারও সাহায্য ছাড়া চলাফেরা করতে পারেন না। আর যে কোনো সময় ফের নতুন বা পুরোনো উৎস থেকে রক্তক্ষরণ শুরু হতে পারে। তাই দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেয়া দরকার। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় তার পুত্রবধূ শর্মিলা রহমান শিথি গত ১৬ই জানুয়ারি লন্ডনে চলে গেছেন। এখন বিএনপি নেত্রীর জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যদের পাশাপাশি তার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ অন্যরা নিয়মিত তার খোঁজখবর রাখছেন। তবে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় পরিবার কিংবা দলের নেতাদের সাক্ষাতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় খালেদা জিয়াকে গত ১৩ নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এভার কেয়ারের চিকিৎসক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ জনের একটি মেডিকেল টিম তাকে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। ৭৭ বছর বয়সী এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী লিভার সিরোসিস ছাড়াও অনেক বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিকস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security