সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে সাংবাদিককে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করার ভিডিও ভাইরাল । সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) নিজের ফেসবুক আইডিতে সাংবাদিক মারধরের ভিডিও ভাইরাল করে দোষিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান হাওর উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাশমির রেজা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওতে দেখো যায়, পাথর খেকোরা ওই সংবাদকর্মীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দৈনিক সংবাদ ও দৈনিক শুভ প্রতিদিনের তাহিরপুর উপজেলা প্রতিনিধি কামাল হোসেন সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে যাদুকাটা নদীতে অবৈধভাবে পাড় কেটে বালু পাথর উত্তোলনের ছবি তোলার চেষ্টা জন্য গিয়েছিলেন। ঐ সময় পাথর খেকো চক্র তাকে মারধর করে এবং ঘাগটিয়া চকবাজারে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে।
হামলার শিকার সংবাদকর্মী কামাল হোসেন বলেন, ‘সকালে স্থানীয় সূত্রে বালি উত্তোলনের খবর শুনে যাদুকাটা নদীতে যাই। সেখানে পৌঁছে অবৈধ বালু উত্তোলনের ছবি তুলতে গেলে ঘাগটিয়া গ্রামের মাহমুদুল ইসলাম, দীন ইসলাম, রইস উদ্দীন তিনজন মিলে আমাকে বেধড়ক মারধর করে। সে সময় আমার মোটরসাইকেল, ক্যামেরা, মোবাইলসহ নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। টানা আধাঘণ্টা মারধর করার পর আমাকে টেনে বাজারে নিয়ে এসে গাছে বেঁধে পুনরায় মারধর করে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আমার শরীর ক্ষতবিক্ষত করেছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, হামলাকারীরা যাদুকাটা নদীতে অবৈধভাবে পাড় কেটে বালু পাথর উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত। ঐ চক্রটির কারণে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে জাদুকাটা নদী।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, লোকজনের সামনে সাংবাদিকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করা হয়েছে। পরে আমরা তাকে উদ্ধার করে তাহিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসি।
হাওর উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাশমির রেজা বলেন, একজন সাংবাদিক যাদুকাটা নদীতে অবৈধভাবে পাড় কেটে বালু পাথর উত্তোলন করছে তার ছবি তুলতে গেলে প্রকাশ্যে তারা গাছে বেঁধে মারধর করেছে। আমি জোর দাবি জানাই, এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হোক।
তাহিরপুর থানার এস আই মাহমুদুল হাসান বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।