শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪

বিদায় ফুটবলের কিংবদন্তি

যা যা মিস করেছেন

আচমকা এমন খবরে থমকে গেল গোটা ফুটবল দুনিয়া। চমকে উঠল ফুটবলপ্রেমী বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়। যাকে বলা হয় ফুটবল ঈশ্বর, সেই দিয়েগো আর্মান্দো ম্যারাডোনা এই দুনিয়ার মায়া ছেড়ে চলে গেছেন। কাঁদিয়ে গেছেন তার কোটি কোটি ভক্তদের। বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে জনপ্রিয় বিশ্বকাপ জয়ী এই তারকা বুধবার আর্জেন্টিনায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। আর্জেন্টিনায় তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। এই কিংবদন্তির মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ম্যারাডোনার জীবনের বড় অংশ জুড়ে ছিল তাকে ঘিরে নানা তর্ক-বিতর্ক। ফুটবলের মাঠে অবশ্য তিনি সর্বকালের সবচেয়ে অনবদ্য এক খেলোয়ার হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। কিন্তু, ক্রীড়াজগতের বাইরে তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও কম হইচই হয়নি। মাদক ও অ্যালকোহল আসক্তি তার ক্যারিয়ারে বিরতি আনে। তারপরও, ভক্তদের হৃদয়ে ম্যারাডোনার আসন ছিল অটুট।

আজ সব খ্যাতি আর সমালোচনার ঊর্দ্ধে পাড়ি জমালেন এ মহাতারকা।

খেলোয়াড় হিসেবে তার সবচেয়ে বড় অর্জন ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে পশ্চিম জার্মানির বিপক্ষে জয়। ওই টুর্নামেন্টেই তিনি ‘ঈশ্বরের হাত খ্যাত’ সেই বিখ্যাত গোলটি করেন।

ইতালিয়ান লীগে নেপোলি ক্লাবের হয়েও বিস্ময় দেখিয়েছেন। ১৯৮৭ ও ১৯৯০ সালে তার পারফরম্যান্সের সুবাদেই সিরি-এ শিরোপা জেতে ক্লাবটি। ১৯৮৭ সালের ইতালিয়ান কাপ আর ১৯৮৯ সালের উয়েফা কাপ জেতার ধারাবাহিকতাতেও ছিল তার অবদান।

ক্যারিয়ারের এই শীর্ষ সময়েই তিনি কোকেনে আসক্তিতে জরিয়ে পড়েন। ফলে ১৯৯১ সালে তাকে ক্লাবটি ছাড়তে হয়। তারপর টানা ১৫ মাস তাকে মাদক গ্রহণের দায়ে নিষিদ্ধ করা হয়।

১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপেও মাদক টেস্টে পজিটিভ শনাক্ত হওয়ার পর ম্যারাডোনা বাদ পড়ে যান। তারপর ১৯৯৯ ও ২০০০ সালে  হৃদযন্ত্রের সমস্যায় তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন।

বুধবার আর্জেন্টিনা সময় দুপুরে সর্বপ্রথম ফুটবল বরপুত্রের মৃত্যুর কথা জানায় দেশটির গণমাধ্যম- ক্লারিন। এরপরই শোক সংবাদটি সম্পর্কে এক বিবৃতি দিয়ে নিশ্চিত করেন ম্যারাডোনার আইনজীবী। এঘটনা জানার পর থেকে ফুটবল জগতের সবাই তার স্মৃতির উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

ম্যারাডোনা বলেছিলেন কখনো সময় পেলে বাংলাদেশে আসবেন। কিন্তু তার আর বাংলাদেশে আসা হলো না। বাংলাদেশের মানুষ ম্যারাডোনাকে অন্তর দিয়ে ভালোবাসে। ১৯৯৪ বিশ্বকাপ ফুটবল থেকে যখন ‘ষড়যন্ত্র করে’ ম্যারাডোনাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল তখন ম্যারাডোনার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষও কেঁদেছে। ক্ষোভে-দুঃখে রাস্তায় বেরিয়ে গিয়েছিল ফুটবলপাগল মানুষগুলো। প্রিয় ফুটবলারের সেই কান্নার কথা আজও ভোলেনি বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীরা।

ম্যারাডোনা হয়তো কোনো দিন জানবেনও না তার কত কোটি ভক্ত আছে বাংলাদেশে। তার জন্য কত ভালোবাসা জমে আছে বাংলাদেশিদের মনে। ভক্তদের অকুণ্ঠ ভালোবাসার মধ্যে আজীবন বেঁচে থাকবেন ফুটবলের এই মহানায়ক দিয়েগো আর্মান্দো ম্যারাডোনা।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security