মঙ্গলবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৪

শতগুণের ইসবগুলের ভুসি

যা যা মিস করেছেন

ইসবগুল কম-বেশি আমরা সবাই চিনি। যুবক থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবাই বোধহয় ইসবগুলের নাম শুনেছে। কারণ, এমন মানুষ খুব কম পাওয়া যাবে যে কখনো কোষ্ঠবদ্ধতায় ভোগেনি। আর কোষ্ঠবদ্ধতা হলেই বাড়ির মুরব্বিরা যে জিনিসটির কথা প্রথমে স্মরণ করেন তা হলো ইসবগুল বা ইসবগুলের ভুসি।

ইসবগুল ব্যবহারে কোষ্ঠবদ্ধতা, অর্শ, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া,আমাশয়, সুতিকা রোগ, শ্বাসকষ্ট এবং মাথাঘোরা প্রভৃতি ভালো হয়। আমাদের নিত্যদিন খাবারে তৈলাক্ত, অধিক মসলাযুক্ত, এলার্জিক খাদ্য, ভাজাপোড়া খেলে নিশ্চিত কোষবদ্ধতা হবে। আর কোষ্ঠবদ্ধতা হলে পেটে গ্যাস উৎপন্ন হয়। বুক জ্বালাপোড়া করে। টক ঢেঁকুর ওঠে। তাই এসব হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে রাতে শোয়ার আগে এক গ্লাস লেবুর রসের শরবতের সাথে এক টিপ ইসবগুলের ভুসি মিলিয়ে খেলে সকালে সহজে পেট পরিষ্কার হয়ে যায়। তবে খাওয়ার নিয়ম-কানুন জানতে হবে।চলুন তাহলে জেনে নেই ইসবগুলের কিছু বিস্ময়কর স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে।

হার্টের সুস্থতায় : ইসবগুলের ভুসিতে থাকা খাদ্যআঁশ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে আমাদেরকে হূদরোগ থেকে সুরক্ষিত করে। যে কারণে চিকিত্সকরা সব সময় হূদরোগ প্রতিরোধে এধরনের খাবারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এটি পাকস্থলীর দেয়ালে একটা পাতলা স্তর সৃষ্টি করে। যা খাদ্য হতে কোলেস্টেরল শোষণে বাধা দেয়; বিশেষ করে রক্তের সিরাম কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। এছাড়াও এটি রক্তের অতিরিক্ত কোলেস্টেরল সরিয়ে দেয়, যা থাকলে ধমনীতে ব্লক সৃষ্টির সম্ভাবনা থাকে।

কোষ্ঠবদ্ধতায় : এই সমস্যা হলে ৫ থেকে ১০ গ্রাম ইসবগুল নিয়ে এক কাপ ঠা-া বা  হালকা গরম পানিতে আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে তাতে দু-তিন চামচ চিনি মিশিয়ে সকালে বাসিপেটে খেলে বা রাতে শোয়ার আগে খেলে উপকার পাওয়া যায়। যারা ক্রণিক কোষ্ঠবদ্ধতায় ভুগছেন, তারা সকাল ও রাতে খেতে হবে দুই মাস। নিয়মিত পায়খানা শুরু হলে শুধু রাতে শোয়ার আগে খেলেই চলে। ধীরে ধীরে কমাতে হবে। পায়খানা যখন নিয়মিত হবে তখন সপ্তাহে দু-একদিন খেলেই হবে। মনে রাখবেন, বাজারের পেট পরিষ্কারক ওষুধের চেয়ে ইসবগুল শতগুণে ভালো। কোষ্ঠবদ্ধতা সমস্যার চেয়ে ভালো সমাধান আর কিছু আছে বলে মনে হয় না।

অর্শরোগে : কোষ্ঠবদ্ধতা অর্শরোগের প্রধান কারণ। তাই অর্শরোগীদের নিত্যদিনের ওষুধ এই ইসবগুল। প্রতি রাতে পানিতে এক টিপ ইসবগুলের ভুসি দিয়ে খেয়ে শুতে যাওয়া অভ্যাস করলে উপকার পাওয়া যায়।

আমাশয় হলে : যারা আমাশয়ে ভুগছেন, তাদের জন্যও ইসবগুল ভালো। ইসবগুল আমাশয়ের জীবাণু ধ্বংস করতে পারবে না, তবে বের করে দিতে পারবে। আমাশয়ের রোগীরা সকালে ও রাতে একবার শরবতের সাথে খাবেন।

প্রস্রাবে জ্বালাপোড়ায় : যেকোনো কারণে প্রস্রাব হলুদ হয়ে জ্বালাপোড়া হলে সকালে এক গ্লাস ও বিকেলে এক গ্লাস শরবতের সাথে ইসবগুলের ভুসি খেলে প্রস্রাবের  জ্বালাপোড়া চলে যাবে।

মাথাঘোরা রোগে : যেকোনো কারণে মাথা ঘুরানি রোগ হলে বা হাত-পা জ্বালাপোড়া হলে সকাল-বিকেলে এক গ্লাস আখের গুড়ের শরবতের সাথে ইসবগুলের ভুসি মিশিয়ে ১ সপ্তাহ খেলে উপকার পাওয়া যায়।
ইসুবগুলের মতো এমন নির্দোষ পেটপরিষ্কারক ওষুধ আবালবৃদ্ধবনিতা সবাই এটা খেতে পারেন নির্দ্বিধায়।

সবশেষে এ সত্যটি মনে রাখুন-নিজের যতœ না নিলে নিজে-অন্যের ওপর ভরসা মিছে।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security