শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪

স্বামীর উপর মানসিকভাবে খুব বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়ছেন?

যা যা মিস করেছেন

দাম্পত্য সম্পর্কে পারস্পরিক নির্ভরশীলতা থাকা খুব স্বাভাবিক। তাতে সম্পর্ক মজবুত হয়, প্রেমের মাধুর্য স্থায়ী হয় সারাজীবন। সমস্যা হল, জীবন যেমন সবসময় সরলরেখায় চলে না, তেমনি অতিরিক্ত নির্ভরশীলতাও সবসময় ইতিবাচক হয় না! এমনিতে স্বামী বা পার্টনারের উপর মানসিকভাবে নির্ভর করার মধ্যে ক্ষতিকর কিছু নেই, কিন্তু আবেগের উপর নিয়ন্ত্রণ না থাকলে তা ক্ষতিকর হয়ে উঠতেও বেশি সময় লাগে না। ফলে যদি আপনার মনে হয় কারণে-অকারণে পার্টনারের উপর নানাভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়ছেন, তা হলে একটু আত্মসমীক্ষা করার সময় হয়েছে।

কীভাবে বুঝবেন আপনি পার্টনারের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছেন কিনা? ভেবে দেখুন নিচের পয়েন্টগুলো।

পার্টনারের মুডের উপর আপনার আনন্দ নির্ভর করে
পার্টনার খুশি হন এমন কাজ করতে সারাক্ষণ তৎপর থাকেন? তার জন্য নিজের আনন্দের সঙ্গে আপস করতে হলেও পিছপা হন না? তেমন হলে একটু সচেতন হোন। পার্টনারের ভালো লাগাটা জরুরি নিশ্চয়ই, কিন্তু নিজের আনন্দ বিসর্জন দিয়ে নয়। নিজের ভালো লাগাটাকেও গুরুত্ব দিন, না হলে মনের উপর অহেতুক চাপ পড়বে।

পার্টনারকে বাদ দিয়ে আপনি কিছু করেন না
সে সিনেমা দেখতে যাওয়াই হোক বা বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিক, স্বামী বা পার্টনার সঙ্গে না গেলে আপনি কি কোথাও যান না? এমন হলে সতর্ক হোন। আপনার নিজের স্বাধীন অস্তিত্বটা নিজের হাতে মুছে ফেলবেন না। মাঝেমধ্যে নিজে আলাদা বেরোন, স্বাধীনভাবে সময় কাটান।

স্বামীর যা পছন্দ আপনারও তাই?
এটা ঠিক, আপনাদের কিছু কিছু পছন্দ-অপছন্দে মিল থাকবে। কিন্তু অন্ধের মতো স্বামীর পছন্দকেই যদি নিজের পছন্দে বদলে নিতে থাকেন, তা হলে আপনার নিজের পরিচিতি বলে কিছু থাকবে না। নিজের ভালো লাগার কাজগুলোর উপরে জোর দিন, না হলে পরে অভাববোধে ভুগবেন।

পোশাকআশাক শুধু স্বামীর পছন্দ অনুযায়ী?
ওয়েস্টার্ন পোশাকে স্বচ্ছন্দ নন, শুধু স্বামী পছন্দ করেন বলে পরেন? আমাদের পরামর্শ যদি শোনেন, তা হলে এই অভ্যেস থেকে বেরিয়ে আসুন। শুধু পোশাক নয়, চুলের স্টাইল, সাজগোজের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। নিজে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন এমনভাবেই সাজগোজ করুন, পোশাক পরুন। আপনি যেমন সেভাবে যদি ওঁর আপনাকে ভালো না লাগে, তবে তো সম্পর্কটার ভিত্তি নিয়েই চিন্তাভাবনা করার সময় এসেছে!

স্বামী অন্য কারও সঙ্গে সময় কাটালে ঈর্ষাবোধ করেন
আপনার স্বামী যদি অন্য কারও সম্পর্কে কথা বলেন, অন্য কারও সঙ্গে সময় কাটালে (তা সেই মানুষটি পুরুষ-মহিলা যাই হোন), আপনার খুব রাগ হতে থাকে? কেন ওই ব্যক্তির সঙ্গে স্বামীর কথা বলা উচিত নয়, তা নিয়ে উদ্ভট সব যুক্তি সাজাতে থাকেন? সবসময় চান স্বামী তাঁর পূর্ণ মনোযোগ শুধু আপনাকে দিন? তা হলে কিন্তু আপনার নিজেকে নিয়ে ভাবার সময় এসেছে! এতে সম্পর্কটারই ক্ষতি করছেন আপনি। রিল্যাক্স করুন, স্বামীকে স্পেস দিন, নিজের জীবনটাও উপভোগ করুন।

আর্থিকভাবে আপনি স্বামীর উপরে নির্ভরশীল
এটা সবচেয়ে জরুরি পয়েন্ট। অর্থনৈতিক স্বাধীনতা না থাকলে মেয়েরা অনেকসময় পার্টনার বা স্বামীর মন জুগিয়ে চলতে বাধ্য হন এবং নিজের মানসিক কন্ডিশনিংটাও তাঁরা সেভাবেই করে নেন। অর্থাৎ অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতাকে ভিত্তি করেই তৈরি হয় মানসিক নির্ভরশীলতা। এরকম হলে একটু সিরিয়াস ভাবনাচিন্তা করা দরকার। কীভাবে আপনি এই আর্থিক নির্ভরশীলতা কাটিয়ে উঠতে পারেন, তা নিয়ে ভাবতে হবে। চট করে চাকরি পাওয়া মুশকিল, তাই পার্ট টাইম বা ফ্রিল্যান্স কোনও কাজ শুরু করতে পারেন। স্বাধীন ব্যবসাও করা যায়। প্রথমেই বড়ো কিছু না ভেবে একদম ছোট কিছু দিয়ে শুরু করুন। আপনি যে কাজটা সবচেয়ে ভালো পারেন, সেটাই আপনার ব্যবসার ভিত হতে পারে। হাতের কাজ, রান্না করা, আঁকা, যে বিষয়ে আপনি পারদর্শী, সেটা নিয়েই কাজ শুরু করুন। প্রথম প্রথম হাতে টাকাপয়সা থাকবে না, কিন্তু যদি মনের জোর থাকে আর লেগে থাকতে পারেন, তা হলে আর্থিক নির্ভরশীলতার জায়গাটাও ধীরে ধীরে কেটে যাবে।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security