আমরা সবাই যদি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি তবে দেশে কোনো দারিদ্র্য থাকবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে মুজিব বর্ষে গৃহহীন মানুষদের ঘর উপহার শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সরকারের সিনিয়র সচিব ও সচিবরা গৃহহীন মানুষদের ঘর সরবরাহের এ উদ্যোগ নিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) গৃহহীন মানুষদের মধ্যে ১৬০টি ঘর হস্তান্তরের এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত ঘোষণা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, তবে করোনাভাইরাসের কারণে এটি করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং থাকবে।
দেশের মানুষ অত্যন্ত সাহসী এবং তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানের কাছ থেকে তাদের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছে। আমরা বিজয়ী জাতি এবং বিজয়ী হয়েই বিশ্ব অঙ্গনে চলব। আমরা এই সম্মান অর্জন করেছি।
দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের সাফল্যের কথা বলতে গিয়ে তিনি উল্লেখ করেন যে সরকার এখন সকলের পুষ্টি নিশ্চিতের লক্ষ্যে পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ও অন্যান্যের উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি এক ইঞ্চি জমিও ফেলে না রাখতে সকলকে আহ্বান জানান। সরকার কৃষির যান্ত্রিকীকরণের ওপর বিশেষ মনোযোগ দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশজুড়ে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছে। আমরা দেশের বিভিন্ন স্থানে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প প্রতিষ্ঠার উদ্যোগও নিয়েছি।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে জনকল্যাণে সরকারের নেয়া অনেক উদ্যোগ স্থগিত রয়েছে। তবে সরকার কাজ করছে, গ্রামীণ অঞ্চলে আর্থিক সহায়তা যাতে পৌঁছতে পারে তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে।
এই দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে পারলে সেটা হবে আমার জীবনের সাফল্য। আমি কখনই ভাবিনি যে আমি কী অর্জন করেছি বা পাইনি। দেশের মানুষকে আমি কি দিতে পারলাম সেটাই আমার কাছে আসল, বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বিত্তবান লোকদের নিজ নিজ এলাকায় সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। মুজিব বর্ষে গৃহহীন মানুষদের বাড়িঘর সরবরাহের জন্য সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে।
দ্যা মেইল বিডি/খবর সবসময়