২০১৪ সালে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের (আইপিএল) কিছু ম্যাচ হয়েছিল আরব আমিরাতে। সেবার মরুর দেশটিতে পাঁচ ম্যাচ খেলে সবকটিতে হেরেছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। ত্রয়োদশ আইপিএলের আয়োজক দেশে উদ্বোধনী ম্যাচে চেন্নাইয়ের কাছে হেরে শুরু মুম্বাইয়ের। সপ্তমবারের চেষ্টায় আমিরাতে জয়ের খাতা খুলেছে রোহিত শর্মার দল। বুধবার রাতে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ৪৯ রানে হারিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। সাত বছর পর নিজেদের প্রথম ম্যাচে হারের স্বাদ পেল নাইট রাইডার্স।
আইপিএলে কলকাতার বিপক্ষে মুম্বাইয়ের জয়ের রেকর্ডটা দুর্দান্ত। এই ম্যাচের আগে শেষ ১০ লড়াইয়ে ৯ বারই জয় পায় মুম্বাই। আবুধাবিতে বুধবারের জয়টা কলকাতার বিপক্ষে মুম্বইয়ের ২০তম।
আইপিএল ইতিহাসে নির্দিষ্ট কোন দলের বিপক্ষে যা সর্বোচ্চ জয়।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৮ রানেই ওপেনার কুইন্টন ডি কককে হারায় মুম্বই। দ্বিতীয় উইকেটে তিনে নামা সূর্যকুমার যাদবকে নিয়ে ৯০ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ৯৮ রানের মাথায় সূর্যকুমার (২৮ বলে ৪৭) ফিরলেও দলকে বড় সংগ্রহের পথে রাখেন রোহিত শর্মা। ৫৪ বলে ৮০ রানে রোহিত ফেরার সময় মুম্বাইয়ের স্কোরবোর্ডে তখন ১৮০ রান। রেকর্ড চারবারের চ্যাম্পিয়নদের ইনিংস থামে ১৯৫/৫ এ। শিবম মাভি ২টি এবং সুনীল নারাইন ও আন্দ্রে রাসেল একটি করে উইকেট নেন।
১৯৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বড় রানের চাপ সামলাতে ব্যর্থ কলকাতার ব্যাটসম্যানরা। এবারের আসরের সবচেয়ে দামী বোলার প্যাট কামিন্স ৩ ওভারে ৪৯ রানে ছিলেন উইকেটশূন্য। তবে ব্যাট হাতে চমক দেখিয়েছেন তিনি। ১২ বলে ৪ ছক্কা ও এক বাউন্ডারিতে ৩৩ রান করে দলের সর্বোচ্চ স্কোরার। যদিও তার এই ঝোড়ো ব্যাটিং কাজে লাগেনি টপ ও মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায়। অধিনায়ক দিনেশ কার্তিক (২৩ বলে ৩০), এউইন মরগান (২০ বলে ১৬) জ্বলে উঠতে ব্যর্থ। আন্দ্রে রাসেলও (১১ বলে ১১) নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। মুম্বাইয়ের বোলারদের দারুণ নৈপুণ্যে ১৪৬/৯ এ থামে কলকাতা। ২টি করে উইকেট নেন জশপ্রীত বুমরাহ, ট্রেন্ট বোল্ট, রাহুল চাহার ও জেমস প্যাটিনসন।