...
শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪

সচিবালয়ে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত বাড়ছে করোনার ঝুঁকি

যা যা মিস করেছেন

দেশে মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কিছুটা কমলেও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হওয়ায় সচিবালয়ে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। দর্শনার্থী নিষিদ্ধ থাকলেও অজ্ঞাত কারণে তাদের প্রবেশ চলছে সমানে। স্থান সংকুলান না হওয়ায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঠাসাঠাসি অবস্থানে ন্যূনতম সামাজিক দূরত্বের বিধান পালন করা সম্ভব হচ্ছে না। সবচেয়ে বিপজ্জনক লিফট। কোনো লিফটই নিয়মিতভাবে জীবাণুমুক্ত করা হয় না। পাঁচ জনের জায়গায় একেক লিফটে দ্বিগুণ-তিনগুণ মানুষ উঠছে। মাস্ক ব্যবহার তো চোখেই পড়ে না।

বাস্তব অবস্থা স্বীকার করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, ‘নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের সচিব বিষয়টির ওপর নজর রাখতে পারেন। সেভাবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনাও আছে। যদি কেউ না মানেন বা কার্যকর না করেন, সেটি দুঃখজনক।’ তিনি বলেন, ‘প্রকারান্তরে সচিবালয়কে করোনার ডিপোতে পরিণত করা হচ্ছে।’

মন্ত্রণালয় ও বিভাগের একাধিক সচিব বা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বিষয়টি স্বীকার করে নিলেও এর প্রতিকারের উপায় সম্পর্কে উদাসীন বলে মনে হয়েছে। খোদ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, যেখান থেকে স্বাস্থ্যবিধি জারি হয়, সেই মন্ত্রণালয়ের যাতায়াত পথে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত। একাধিক কর্মকর্তা একই টেবিলে পাঁচ-সাত জন মিলে খেয়ে থাকেন হোটেলের খাবার। বেশির ভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারী মাস্ক ছাড়াই ঘুরে বেড়াচ্ছেন বারান্দা দিয়ে। সচিবালয়ে মোট আটটি ভবনের মধ্যে অবস্থিত সব কটি মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বসার জন্য নির্ধারিত স্থান খুবই সংকীর্ণ। ছোট ছোট কামরার মতো করে উপসচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পর্যন্ত কর্মকর্তাদের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে, যা স্বাস্থ্যবিধির পরিপন্থি। সার্বিক বিষয়টি পূর্ত মন্ত্রণালয়ের দেখভালের কথা থাকলেও সেই মন্ত্রণালয়েও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে চলছে সব কাজকর্ম। নথি টানাটানি থেকে শুরু করে চলাফেরায় মাস্ক থাকে থুতনির নিচে। গত বৃহস্পতিবার একজন কর্মকর্তাকে এরকম পরিবেশে দেখে জানতে চাইলে তার সোজাসাপ্টা উত্তর—‘সবাইতো করছে, আমার কী দোষ?’

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, এখন তো পাশ বন্ধ। তাই সাধারণের সচিবালয়ের অভ্যন্তরে প্রবেশের সুযোগ কোথায়? অবশ্য বৃহস্পতিবারই দেখা গেল একদল ছাত্র, যারা চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর দাবিতে দেনদরবার করে বেড়াচ্ছেন। তারা দল বেঁধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত্ করার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কীভাবে সচিবালয়ে প্রবেশ করেছেন তা জানতে চাইলে বলেন, ঐ এসেছি আর কি! কিন্তু প্রক্রিয়াটি কোনো ক্রমেই বলতে রাজি হননি তারা।

ইতিমধ্যে সচিবালয়ের অভ্যন্তরে অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো নুরুল ইসলাম সর্বশেষ আক্রান্ত হন। এখন অবশ্য সস্ত্রীক তিনি সুস্থ। স্বাস্থ্যসচিব আব্দুল মান্নানের স্ত্রী সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের উপসচিব দীপক চক্রবর্তী সস্ত্রীক আক্রান্ত হয়েছেন। শিক্ষাসচিবের একান্ত সচিব কাজী শাজাহান সম্প্রতি সুস্থ হয়েছেন। তবে ঐ মন্ত্রণালয়ে কিছু কর্মকর্তা এখনো আক্রান্ত বলে জানা যায়।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security
Seraphinite AcceleratorOptimized by Seraphinite Accelerator
Turns on site high speed to be attractive for people and search engines.