মঙ্গলবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৪

স্টার সিনেপ্লেক্স নিয়ে তিন তারকার কথা

যা যা মিস করেছেন

বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের অষ্টমতলায় ছয়টি হল নিয়ে ২০০৪ সালে যাত্রা করে স্টার সিনেপ্লেক্স। সব কটি হল মিলিয়ে একসঙ্গে ১ হাজার ৬০০ দর্শক ছবি দেখার সুযোগ পেতেন। সেটি এখন আর থাকছে না। মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) এ খবর নিশ্চিত করে স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছেন, বসুন্ধরার পক্ষ থেকে নোটিশ দেয়া হয়েছে দ্রুত সিনেপ্লেক্সের জায়গাটি খালি করে দেয়ার জন্য।

এ নিয়ে নানা রকম প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সিনেমা, নাটক, সংগীতসহ নানা অঙ্গনের মানুষেরা বসুন্ধরা সিটি থেকে স্টার সিনেপ্লেক্স সরে যাওয়ার খবরটি মেনে নিতে পারছেন না।

এ নিয়ে চিত্রনায়ক রিয়াজের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘১৪ বছরে সেরা ১০টি সিনেমাকে স্টার সিনেপ্লেক্স অ্যাওয়ার্ড দিয়েছিল। সেখানে আমার চারটি সিনেমা স্থান পেয়েছে। স্টার সিনেপ্লেক্স সবসময়ই আমার কাছে একটি ভালোবাসার নাম। দীর্ঘদিন ধরেই তারা সুস্থ ধারার, গল্পপ্রধান ছবিগুলোকে প্রমোট করেছে। স্টার সিনেপ্লেক্স একটি বড় জায়গা ছিল দর্শকদের জন্য। আধুনিক সিনেমা হল বলতে যেটা বোঝায় তা আমাদের দেশের দর্শক এই স্টার সিনেপ্লেক্সকে দেখেই জেনেছে। এবং এটি অবশ্যই বসুন্ধরা সিটি শপিংমলের শাখা দিয়ে। আসলে বললে অত্যুক্তি হবে না যে স্টার সিনেপ্লেক্স মানেই বসুন্ধরা সিটি কিংবা বসুন্ধরা সিটি মানেই স্টার সিনেপ্লেক্স। একটা জুটির মতো ব্যাপার ছিল।

তাছাড়া এখানে ছয়টি পর্দায় সিনেমা চলতো। এখন ছয়টি হল বন্ধ হয়ে যাবে। এটা কিন্তু অবশ্যই মন খারাপের কথা। বাংলা সিনেমার জন্য ছয়টি হল বন্ধ হওয়া মানে বিপদ। সেটাও আধুনিক হল। অনিয়মিত হলেও সেখানে আমাদের ছবি চলতো। দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া এই মুহূর্তে কিছুই করার নেই। হয়তো নতুন শাখা আসবে। বাট ইমোশনের বসুন্ধরা সিটির শাখাটি আর থাকবে না। অবশ্যই মিস করবো খুব।’

মেহের আফরোজ শাওন বলেন, ‘আমি যতদূর জানি চুক্তিভিত্তিক কোনো একটা ঝামেলা নিয়ে বসুন্ধরা সিটি থেকে স্টার সিনেপ্লেক্সটি সরে যাচ্ছে। ভাড়া দিতে পারছে না এমন কিছু নয়। একটি জায়গায় ভাড়া নিতে হলে একটি চুক্তির প্রয়োজন হয়। এ হলের চুক্তি যা ছিল তা শেষ হয়েছে এবং চুক্তিটি আর নবায়ন হচ্ছে না। এর মানে এই নয় যে সিনেপ্লেক্স আর কোথাও থাকবে না! আমি মনে করছি না এটা বিশাল কোনো ক্ষতি হয়েছে। হয়তো বসুন্ধরায় থাকবে না অন্য কোথাও এটি থাকবে।

স্টার সিনেপ্লেক্স তো ঢাকার অনেকগুলো এলাকায়ই আছে। আমি নিশ্চিত যে সিনেপ্লেক্সের চেয়ারম্যান মাহাবুব সাহেব তার সিনেমার প্রতি ভালোবাসা ছিল বলেই সিনেপ্লেক্স করেছিলেন। এই ভালোবাসাকে তিনি একটি চুক্তিতে আটকে রাখবেন না। একটি দরজা বন্ধ হলো মাত্র। আরো দশটি দরজা খুলে যাবে।’

এ প্রসঙ্গে চিত্রনায়ক ফেরদৌসের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভয়াবহ সমস্যার সম্মুখীন আমাদের সিনেমা। সেখানে ছয়টি থিয়েটার নিয়ে বসুন্ধরা সিটি থেকে স্টার সিনেপ্লেক্স বন্ধ হয়ে যাওয়া মানে বিপদের ওপর বিপদ। হয়তো অনেকে বলবে নতুন শাখা হবে, নতুন থিয়েটার উঠবে। তাতে কী! যেটা ছিল সেটা তো থাকছে না।

বাংলাদেশের দর্শকদের জন্য নতুন একটি ধারা তৈরি করেছিল, নতুন একটি মাত্রা তৈরি করেছিল। বাংলা সিনেমাকে আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে যাওয়ার জন্য বসুন্ধরা সিটির ওই শাখাটির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। বাংলাদেশে প্রথম তারাই মানসম্মত হল তৈরি করেছে। চেয়ারম্যান মাহাবুব রহমান ভাই যে সময় এত টাকা ইনভেস্ট করেছিলেন সাহসিকতা নিয়ে আমরা সবসময় তার কাছে কৃতজ্ঞ ছিলাম। আজও আছি।

করোনার থাবায় সব সেক্টরেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমার মনে হয় সিনেমা এবং সিনেমার পরিবারের সবার বেশি ক্ষতি হলো। বসুন্ধরার হলটি বন্ধ হলে সেটিও অপূরণীয় একটি ক্ষতি হয়ে থাকবে। আমি সবাইকে অনুরোধ করবো সংশ্লিষ্ট যারা আছেন তারা যেন এ ব্যাপারটি দেখেন। আমি চাই না, কেউই চায় না এ হলটি বন্ধ হোক। কাল থেকে এ বিষয়টি নিয়ে প্রায় সবার মধ্যেই একটা বিষাদ দেখছি।’

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security