মঙ্গলবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৪

গর্ভপাতের বৈধতা চেয়ে হাইকোর্টে রিট, রুল জারি

যা যা মিস করেছেন

গর্ভপাত ঘটানোর শাস্তির বিষয়ে ফৌজদারি দণ্ডবিধিতে উল্লেখিত ৫টি (৩১২ থেকে ৩১৬ ধারা) ধারা সংবিধানের মৌলিক অধিকার পরিপন্থী হিসেবে কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি তারিক উল হাকিম এবং বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ রুল জারি করেন। আইন সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলসহ সংশ্লিষ্ট চার বিবাদীকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা নাসরিনের করা এক রিট আবদেনে এ আদেশ দেন আদালত। রিট আবেতনকারী নিজেই আদালতে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।

পরে সৈয়দা নাসরিন সাংবাদিকদের বলেন, ব্রিটিশ আমলে ১৮৬০ সালে ফৌজদারি দ-বিধি তৈরি করা হয়েছে। গর্ভপাত ঘটানোর শাস্তির কি হবে তা এই দণ্ডবিধির ৩১২ থেকে ৩১৬ নম্বর পর্যন্ত ৫টি ধারায় উল্লেখ রয়েছে। এ কারণে একজন মা ইচ্ছা করলেই আর গর্ভপাত ঘটাতে পারছেন না। এখানে মায়ের কোনো অধিকার নেই। তার কোনো পছন্দ নেই। সে নিজের মত অনুসারে গর্ভপাত করাতে পারছে না।

তিনি বলেন, ধর্ষণের শিকার কোনো নারী গর্ভবতী হয়ে পড়লে সে গর্ভপাত ঘটাতে পারছেন না। কোনো হাসপাতাল গর্ভপাতও করাচ্ছে না। এছাড়া অপ্রত্যাশিতভাবে গর্ভধারণ করলেও সেখানেও গর্ভপাতের সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে না। এটা মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন।

তিনি বলেন, ব্রিটিশদের থেকে আমরা এ আইন পেয়েছি। কিন্তু তারা ১৯৬৭ সালে এটি পরিবর্তন করেছে। অনেক দেশেই গর্ভপাত বৈধ। একারণে রিট আবেদন করা হয়েছে।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security