রাজধানীর ওয়ারী এলাকার বাসিন্দা গত আট দিন যাবত জ্বরে ভুগছেন। সেই সাথে সারা গায়ে ব্যথা। করোনাভাইরাসের আর কোনো উপসর্গ থাকলেও মনের সন্দেহ কাটাতে নমুনা পরীক্ষা করতে গতকাল বুধবার (২৭ মে) রাজধানীর একাধিক সরকারি হাসপাতালে যান। সেখানে দীর্ঘ লাইন ও বিভিন্ন জটিল নিয়ম-কানুন দেখে পরীক্ষা না করেই বৃষ্টিতে ভিজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমইউ) উদ্যোগে শাহবাগ বেতার ভবনে স্থাপিত ল্যাবরেটরিতে চলে আসেন।
ফটকে কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন (নিবন্ধন) করার জন্য পরামর্শ দেন। তাদের পরামর্শ অনুসারে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করলে তাকে আজ ২৮ মে দুপুর ১টা থেকে ২টার মধ্যে নমুনা পরীক্ষার জন্য আসার সময় দেয়া হয়। সে অনুযায়ী তিনি আজ দুপুরে পরীক্ষা করতে হাজির হন। কোনো প্রকার ঝামেলা ছাড়াই তিনি অল্প সময়ে নমুনা দিয়ে বেরিয়ে আসেন।
জুনায়েদ হোসেন জানান, সরকারি অন্য হাসপাতালের তুলনায় বিএসএমএমইউয়ের অনলাইন রেজিসট্রেশন পদ্ধতিতে নমুনা পরীক্ষায় ভোগান্তি অনেক কম। অল্প সময়ে পরীক্ষার পর তাকে বলা হয়েছে মোবাইল ফোনে আজ রাতে কিংবা সকালে ফলাফল জানিয়ে দেয়া হবে। আগামীকাল শুক্রবার (২৯ মে) তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাগজ দেয়া হবে।
গত ২১ মার্চ শাহবাগের বেতার ভবনে বিএসএমএমইউয়ের ফিভার ক্লিনিক চালু হয়। প্রতিদিন এখানে জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত ২৫০ থেকে ৩০০ জন রোগী চিকিৎসা গ্রহণ করেন। গতকাল ২৭ মে পর্যন্ত ফিভার ক্লিনিকে সেবা নেয়া রোগীর সংখ্যা সাড়ে ১২ হাজার ছাড়িয়েছে। আর গত ১ এপ্রিল চালু হয় করোনা টেস্টিং ল্যাবরেটরি। এ পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার সংখ্যা ১৩ হাজার ছাড়িয়েছে।