...
রবিবার, এপ্রিল ২৮, ২০২৪

জাতিসংঘের প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান মিয়ানমারের

যা যা মিস করেছেন

মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র জ হুতে রাষ্ট্রীয় পত্রিকা গ্লোবাল নিউ লাইটকে বলেন, মিয়ানমারে প্রবেশের জন্য আমরা এফএফএম (জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন) এর কর্মকর্তাদের অনুমতি দেইনি। এ কারণে মানবাধিকার কমিশনের কোনো প্রতিবেদন মানতে আমরা রাজি নই।

দেশটির সরকারের এই মুখপাত্র আরও বলেন, রাখাইনের ঘটনা অনুসন্ধানে মিয়ানমার সরকার একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করেছে। জাতিসংখ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতিবেদন মিথ্যা প্রমাণ করতে এ কমিশন গঠন করা হয়েছে।

গত সোমবার জাতিসংঘ গঠিত স্বাধীন আন্তর্জাতিক ফ্যাক্ট ফাইন্ডিংয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমার সেনাবাহিনী গণহত্যার অভিপ্রায় থেকেই রাখাইনে রোহিঙ্গাদের নির্বিচার হত্যা ও ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটিয়েছে। এ জন্য দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হদ্মায়িংসহ বাহিনীর পাঁচ জেনারেলকে দোষী সাব্যস্ত করে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বান জানানো হয়। সোমবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের চেয়ারপারসন মারজুকি দারুসমান, সদস্য ক্রিস্টোফার সিদোতি এবং রাধিকা কুমারাস্বামী তাদের তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে কথা বলেন। এর আগে তদন্তের চূড়ান্ত লিখিত প্রতিবেদন তারা জাতিসংঘ মহাসচিব বরাবর পাঠান। এ সংক্রান্ত আরও বিস্তারিত প্রতিবেদন আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর প্রকাশ করা হবে।

কিন্তু মিয়ানমার সরকার প্রতিবেদনটিতে উল্লেখিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সরকারের মুখপাত্র জ হতে বুধবার রাষ্ট্র পরিচালিত গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে বলেন, আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই যে, আমরা মানবাধিকার পরিষদের করা কোন তদন্ত মেনে নিচ্ছি না।
তিনি বলেন, মিয়ানমার জাতিসংঘের তদন্তকারীদের প্রবেশ করার অনুমোদন দেয়নি। আর এজন্যই আমরা মানবাধিকার পরিষদের বক্তব্যের সঙ্গে একমত নই ও তা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।
তিনি জানান, মিয়ানমার মানবাধিকার লঙ্ঘন সহ্য করে না এবং তারা জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের করা ভুয়া অভিযোগের জবাবে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করেছে।
হতে বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের কোন ঘটনা যদি ঘটে থাকে, তাহলে আমাদের মজবুত প্রমাণ দিন, রেকর্ড দিন ও তারিখ দিন, যাতে করে আমরা নিয়ম-নীতি লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে পারি।
প্রসঙ্গত, জাতিসংঘের প্রতিবেদন নিয়ে এটাই মিয়ানমারের পক্ষ থেকে প্রথম প্রতিক্রিয়া।
এদিকে, জাতিসংঘের প্রতিবেদনটি প্রকাশের দিন মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জেনারেল মিন অং হ্লাইং ও অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের ফেসবুক একাউন্ট বন্ধ করে দেয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির কর্তৃপক্ষ।-রয়টার্স

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security
Seraphinite AcceleratorOptimized by Seraphinite Accelerator
Turns on site high speed to be attractive for people and search engines.