বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন পূরণে বাংলাদেশ একধাপ এগিয়ে গেলো। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মদিনে আমরা বড় সুখবর পেলাম, আমরা আর পিছিয়ে নেই। জাতিসংঘের দেওয়া স্বীকৃতি অনুযায়ী আজ থেকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উপনীত হলো বলে মন্তব্য করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (১৭ মার্চ) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর ৯৯তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই দেশের মানুষের জন্য নিরন্তর কাজ করতে গিয়ে একটানা দুই বছরও আমার বাবা বুঝি কারাগারের বাইরে থাকতে পারেননি। এতেই বোঝা যায় তিনি কী গভীরভাবে বাংলার মানুষকে ভালোবাসতেন। এমনকি পরিবারের চেয়ে দেশের মানুষকে তিনি বেশি ভালোবসতেন বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর লেখা কারাগারের রোজনামচা ও অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়লে বঙ্গবন্ধুর দেশপ্রেম এবং দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসার বিষয়টি বোঝা যায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে এদেশের সব শ্রেণি পেশার মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়ে এ দেশকে স্বাধীন করে। এই ভাষণকে ইউনেস্কো ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। মানবজাতির আড়াই হাজার বছরের ইতিহাসে সামরিক-বেসামরিক যত নেতা ভাষণ দিয়েছেন তার মধ্যে এই ভাষণটিকে সর্বশ্রেষ্ঠ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। এই স্বীকৃতি জাতি হিসেবে আমাদের জন্য গৌরবের।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন। এরমধ্যেই তিনি দেশের উন্নয়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলেন। আরেকটু সময় পেলে এই বাংলাদেশকে আরও আগেই উন্নত ও সমৃদ্ধশালী করতে পারতেন। কিন্তু ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। আমরা দুটি বোন বিদেশে ছিলাম বলেই বুঝি বেঁচে গিয়েছি। বিদেশে আমরা দুই বছর রিফিউজির জীবন যাপন করেছি। তারপরেও আমার বাবার বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ রাজনীতিতে এসেছি। সব সময় দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি।
এসময় দেশের উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন মেয়াদের অবদানের কথা তুলে ধরেন তিনি।
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, জাতির পিতার জন্মদিনে আজ জাতিকে একটা সুখবর দিতে চাই। আজ বাংলাদেশ জাতিসংঘ থেকে স্বীকৃতি পেয়েছে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে। আমাদের পাশের দেশগুলো এই স্বীকৃতি আগেই অর্জন করেছিল। আজ থেকে আমরা তা অর্জন করলাম। এর মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নপূরণে এক ধাপ এগিয়ে গেলাম আমরা।
এসময় তিনি শিশুদের জাতির ভবিষ্যত হিসেবে উল্লেখ করে তাদের নিয়মিত লেখাপড়া করার পরামর্শ দেন এবং তাদের অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন তাদের সন্তান কোথায় যায়, কার সঙ্গে লেখাপড়া করে সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখেন।