লন্ডনের গ্রেনফেল টাওয়ারে ২৭ তলা আবাসিক ভবন আগুনে জ্বলছে।
লন্ডনের কেন্দ্রস্থলে সারা রাত ধরে একটি ২৭ তলা আবাসিক ভবন আগুনে জ্বলার পর সেখানে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় সময় বুধবার রাত ১২টা ৫৪ মিনিটে ল্যাঙ্কাস্টার ওয়েস্ট ইস্টেটের লাটিমার রোডের গ্রেনফেল টাওয়ারে আগুন লাগার খবর প্রথম পাওয়া যায় বলে পুলিশের বরাতে জানিয়েছে বিবিসি।
এর পরপরই ৪০টি ফায়ার ইঞ্জিন নিয়ে প্রায় ২০০ দমকল কর্মী আগুন নেভানোর চেষ্টা শুরু করেন। এর তিন ঘন্টা পরেও ওই ভবন থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তবে ঠিক কতজন নিহত হয়েছে সে সংখ্যাটা এখনও নিশ্চিত করা যাচ্ছে না বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। মেট্রাপলিটন পুলিশও সংখ্যা উল্লেখ না করে জানিয়েছে অগ্নিকাণ্ডে ‘কিছুসংখ্যক মানুষ নিহত’ হয়েছেন। তাছাড়া আগুন লাগার কারণ জানতে কিছুটা সময় লাগবে বলেও উল্লেখ করেছে তারা।
এদিকে লন্ডন অ্যাম্বুলেন্স জানিয়েছে, ৫০ জনেরও বেশি আহতকে পাঁচটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত সোয়া একটার দিকে ল্যানচেস্টারে লাটিমার রোডের ‘গ্রেনফেল টাওয়ার’ নামের ওই আবাসিক ভবনটিতে আগুন লাগে। এখনও সেখানে আগুন জ্বলছে। বুধবার পুরো পরিস্থিতি নিয়ে একটি বিবৃতি দেন লন্ডন ফায়ার ব্রিগেডের কমিশনার ড্যানি কটন।
বিবৃতিতে তিনি জানান, আগুন লাগার খবর পাওয়ার ছয় মিনিটের মাথায় দমকলকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। আগুন নেভাতে এখন সেখানে ফায়ার ব্রিগেডের ২০০ কর্মী নিয়োজিত রয়েছেন। ড্যানি কটন জানান, আগুনের মাত্রা এতো ভয়াবহ যে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকল বাহিনী হিমশিম খাচ্ছে। উদ্ধার তৎপরতাও অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়েছে।
ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ব্যাপারে বলতে গিয়ে ড্যানি কটন বলেন, ‘আমি অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে এ অগ্নিকাণ্ডে বেশ কয়েকজনের প্রাণহানি হয়েছে।’
তবে ভবনের আকার ও জটিলতার কারণে এখনই নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
এর আগে লন্ডন ফায়ার ব্রিগেডের অ্যাসিস্টেন্ট কমিশনার ডেন ডেলি বলেন, ‘পরিস্থিতি ভয়াবহ। এমন জটিল পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করছেন দমকলকর্মীরা। অনেক বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা এটি এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছি।’ আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৪০টি ইউনিট ও প্রায় ২০০ দমকলকর্মী।
বিবিসির সাংবাদিক অ্যান্ডি মুর জানান, পুরো ভবনটি আগুনে জ্বলছে এবং ভবনটি ধসে পড়ারও আশঙ্কা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘ভবন থেকে ধ্বংসাবশেষ পড়তে দেখছি। আমরা বড় বিস্ফোরণের শব্দও শুনেছি। কাঁচ ভাঙার শব্দও পেয়েছি।’
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।
প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।