ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় সন্দেহভাজন জঙ্গিদের এক আস্তানা ঘিরে পুলিশের অভিযানের মধ্যে দুইজন নিহত হয়েছেন।
পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট রবিবার (৭ মে) ভোর থেকে বাড়িটি ঘিরে রেখেছে। পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি দিদার আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, জঙ্গিদের ছোড়া বিস্ফোরকে পুলিশের দুই কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। ভেতরে দুই জঙ্গি আত্মঘাতী হয়েছে বলে তারা ধারণা করছেন। বাড়ির ভেতর থেকে গুলির শব্দও পাওয়া গেছে।
ডিআইজি দিদার আহমেদ আরও জানান, বজরাপুরের পাশাপাশি সদর উপজেলার লেবুতলায়ও একটি পরিত্যক্ত জঙ্গি আস্তানা থেকে কিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য গত ২২ এপ্রিল ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটি গ্রামের ঠনঠনেপাড়ায় জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালায় পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিটের সদস্যরা।অভিযানের নাম ছিল ‘অপারেশন সাউথ প’ বা দক্ষিণের থাবা। প্রায় ৪ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের অভিযানে ওই জঙ্গি আস্তানা থেকে বিস্ফোরক তৈরি রাসায়নিক ভর্তি ২০টি ড্রাম, একটি সেভেন পয়েন্ট সিক্স বোরের পিস্তল, একটা ম্যাগাজিন, সাত রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। পাঁচটি বোমা নিষ্ক্রিয় করা হয়। বাড়ির ভেতর থেকে ১৫টি জিহাদি বইও উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের ৩০ জন এবং খুলনা রেঞ্জের পুলিশ, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), র্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় ৪০০ সদস্য এই অভিযানে অংশ নেন।
অপারেশন ‘সাউথ প’ (দক্ষিণে থাবা) সমাপ্ত ঘোষণার পর এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি দিদার আহমেদ জানান, বাড়িটিকে জঙ্গিদের বোমা তৈরির কারখানা বলা যেতে পারে। এই বাড়িতে তিন-চার জন জঙ্গি ছিল। তারা আগেই পালিয়ে গেছে। এই জঙ্গিদের সবাই জেএমবি ও নব্য জেএমবির সদস্য। এই বাড়িতে জঙ্গি সংগঠনগুলোর বিভাগীয় পর্যায়ের লোকজন আসা যাওয়া করতো।