মৌলভীবাজার শহরের বড়হাটে তিন দিন ধরে ঘিরে রাখা জঙ্গি আস্তানায় বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক থাকার কথা জানিয়ে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছেন, এই অভিযান শেষ করতে সময় লাগতে পারে।
ওই আস্তানায় ‘বোমা বানাতে পারদর্শী’ একজন জঙ্গি রয়েছেন বলেও পুলিশ কর্মকর্তাদের সন্দেহ।
এরপর বেশ কিছু সময় থেমে থেমে গুলির শব্দ পাওয়া যায় এবং বেলা ১১টার দিকে একটি বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা যায়। এর পরপরই তিন তলা ওই বাড়ি থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়।
অভিযান চলার মধ্যেই দূরে অপেক্ষায় থাকা সাংবাদিকদের সামনে আসেন মনিরুল।অভিযানের নাম কেন ‘অপারেশন ম্যাক্সিমাস’ এই প্রশ্নের জবাবে মনিরুল বলেন, ‘সার্বিক পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে জটিলতার ব্যাপকতা বোঝাতে এই নাম রাখা হয়েছে।’
শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে বড়হাটের ওই বাড়ির সামনে পুলিশের উপস্থিতি বাড়ানো হয়। পৌনে ৮টার দিকে সিটিটিসি’র সোয়াট টিমের সদস্যরা সেখানে এসে পৌঁছান। রাতে অভিযান চালানো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বলে সকালে অভিযান চালানোর সিদ্দান্ত নেওয়া হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) মৌলভীবাজারের সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের সরকার বাজার এলাকার নাসিরপুর গ্রামে একটি জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সোয়াট টিমের ‘অপারেশন হিট ব্যাক’ শেষ হয়। এই অভিযানে এক পুরুষ, দুই নারী ও চার শিশু মারা যায়।
উল্লেখ্য, জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) রাত থেকে মৌলভীবাজার পৌরসভার বড়হাট এলাকায় একটি বাড়ি এবং খলিলপুর ইউনিয়নের সরকার বাজার এলাকার নাসিরপুর গ্রামের একটি বাড়ি ঘিরে রাখে পুলিশ ও সিটিটিসি। বুধবার সন্ধ্যায় নাসিরপুরের আস্তানায় অভিযান শুরু করে সোয়াট। পরে আলোর স্বল্পতার কারণে রাতে অভিযান স্থগিত রাখা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার পরে আবার অভিযান শুরু করে সোয়াট। বিকালে অভিযান শেষ হয়।
এদিকে, কুমিল্লার কোটবাড়ীতেও একটি জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। সেই অভিযানের নাম ‘অপারেশন স্ট্রাইক আউট’।